সুপ্রভাত বগুড়া (রায়হানুল ইসলাম, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি): বগুড়া গাবতলীর মহিষাবান ইউনিয়নের ধর্মগাছা ব্রীজসহ একাধিক স্থানে পানি পারাপারে প্রতিবন্ধকতায় নষ্ট হচ্ছে শতশত বিঘা জমির রোপা আমন ধান! কোনটি সম্পূর্ণ, কোনটি আংশিকভাবে তলিয়ে গেছে পানিতে। গাবতলী থানা আওয়ামী লীগের সদস্য ফজলার রহমান ও তার দোসরদের অপতৎপরতায় এই ঘটনা ঘটছে বলে দাবি এলাকার কৃষকদের। আবদ্ধ পানি থাকায় খাস বিলের দুপাশের বাড়ি-ঘর, রাস্তা ভেঙ্গে চলাচলের অনুপোযুক্ত হয়ে পড়েছে। আর এর প্রতিকার চাইলে মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন কৃষকরা।
সরেজমিনে জানা যায়, বগুড়া গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের ধর্মগাছা গ্রামের ব্রীজটি দীর্ঘ প্রায় ৩৫-৪০ বছর যাবৎ নির্মিত হলেও ৩/৪ বছর ধরে এলাকার প্রভাবশালীমহল ধর্মগাছা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে আনুমানিক ১১ একর বিলে মাছ চাষ করার নামে ব্রীজটি দিয়ে পানি পারাপারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে উল্লেখিত প্রভাবশালীমহল।
যার ফলে ঐ এলাকার আনুমানিক ৬শত বিঘা জমির মধ্যে ২শতাধিক বিঘা জমির ধান এখন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কৃষক ইয়াকুব আলী, আব্দুর রাজ্জাক, শাহাদৎ হোসেন, পুটু মিয়া, বেলাল হোসেন, রফিকুল ইসলামের মতো আরো অনেকে জানিয়েছেন, বর্ষার যত পানি সারটিয়া শ্মশানকান্দি কর্ণিপাড়া হয়ে পেরিহাট ব্রীজটি দিয়ে পানি নির্বিঘ্নে খাওড়াদহ দিয়ে পারাপার হতো।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষের নাম করে বর্ষার পানিপারাপারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দহের পানি পুরোপুরি আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ধর্মগাছা ব্রীজে বাঁশের তৈরী ছেচা দিয়ে প্রথম বেরিকেড দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত ১১ একর বিলের শেষ সীমায় পুরোপুরি মাটি দিয়ে বন্ধ করে দেয়ার ফলে কোথাও পানি পারাপারের সুযোগ নেই।
তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগনেতা ফজলার রহমান, শফিকুল, জিন্নাহসহ আরো অনেকে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছে এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই তবে আমাদের দাবি বিঘা প্রতি ৮/১০হাজার টাকা খরচ করে শুধুমাত্র প্রভাব খাটিয়ে কৃষককে ভয় দেখিয়ে ফসল নষ্টকারীরা পার পাবেনা। আমরা আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের শক্ত অবস্থান চাই। যার ফলে কৃষকের ফসল বাঁচবে।
কৃষকের ধান বাঁচবে। না হলে স্থানীয় প্রশাসনকে আমাদের ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করে ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। অন্যথায় কৃষকরা শান্তিপূর্ণ কঠোর কর্মসূচি দিবে বলে জানিয়েছেন। এদিকে অভিযুক্ত গাবতলী থানা আওয়ামী লীগের সদস্য ফজলার রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সরকারী নিতিমালা ফলো করে পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। সরকারই টাকা দিয়েছে মাঝখানে বেরিকেড দিতে। এবিষয়ে গাবতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রওনক জাহান জানানকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।