“গোল্ডেন মিল্ক” এন্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ ও সর্দি-কাশির প্রকোপ থেকে রক্ষা করে

সুপ্রভাত বগুড়া (স্বাস্থ্য কলিকা): হলুদ দুধ, হলুদ মেশানো দুধ বা “গোল্ডেন মিল্ক” ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ বহু বছর ধরে পান করে আসছে। কিন্তু এখন হলুদ দুধ পশ্চিমা বিশ্বেও দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, এবং এটার পেছনে একটাই কারণ তা হচ্ছে এর অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা।

হলুদ কেবল তরকারির স্বাদই বাড়ায় না, সুস্থ রাখে শরীরও। ঔষধি গুণাগুণসম্পন্ন হলুদ দুধের সঙ্গে মেশালে এর গুণাগুণ বেড়ে যায় আরো। তাই সর্দি-কাশির প্রকোপ দেখা দিলে খেতে পারেন হলুদ ও দুধের মিশ্রণ। যাকে বলা হয় হলদি দুধ। বিশেষজ্ঞরা জানান,  রোজ এই দুধ খেলে ঠাণ্ডা-কাশি থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।

Pop Ads

এছাড়া বিভিন্ন রোগ সারাতে এই দুধ খুব ভালো কাজ করে। দুধের মধ্যে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন বি ১২, এ, ডি, কে, ই, ক্যালসিয়াম আপনাকে সুস্থ রাখে। হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিন (Curcumin) নামক কম্পাউন্ড এন্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলীর জন্য সুখ্যাত।

এর ফলে হলুদ  আয়ুর্বেদ ঔষধে শত শত বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এন্টি অক্সিডেন্ট দেহের কোষকে ধ্বংস থেকে রক্ষা করে। এন্টি অক্সিডেন্ট কোষের কার্যকারিতার জন্য খুবই জরুরি, এবং গবেষণায় প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে যে এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেলে তা আমাদের বিভিন্ন ইনফেকশান ও অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা করে।

সর্দি-কাশি কমায়-গরম একগ্লাস দুধে সিকি চা-চামচ হলুদ আর একচিমটে মরিচগুঁড়ো মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি ও সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ করে। বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। গাঁটের ব্যথা কমায়-দুধে থাকা ক্যালসিয়াম আর হলুদের মধ্যে থাকা সংক্রমণ ও প্রদাহনাশক উপাদান একযোগে গাঁটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

মগজের ধার বাড়ায়-অ্যালজাইমার্স কমিয়ে মগজকে রাখে ধারালো। ত্বকের বয়স ধীর করে-ত্বক চর্চায় হলুদের ব্যবহার অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে। ত্বক উজ্জ্বল দেখাতে চাইলে এই পানীয় খেতে পারেন। ত্বকের নীচে জমে থাকা ফ্রি-র্যা ডিক্যালস কমিয়ে অসময়ে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া আটকায়।

গোল্ডেন মিল্ক রেসিপি (ভিডিও):

https://youtu.be/hMdyARVnqLY
 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here