চোখের নীরব ঘাতক গ্লকোমা

3
চোখের নীরব ঘাতক গ্লকোমা

অন্ধত্ব এড়াতে গ্লকোমা নিয়ে যা জানবেন

বাংলাদেশ গ্লকোমা সোসাইটির উদ্যোগে সম্প্রতি দেশব্যাপী আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গবেষণা পদ্ধতি মেনে গ্লকোমা রোগের ওপর জরিপ করা হয়েছে। অপ্রকাশিত এই গবেষণায় পাওয়া গেছে, দেশে ৩ শতাংশের বেশি মানুষ গ্লকোমায় আক্রান্ত। এদের মধ্যে প্রতি ১০ জনে একজন শুধু চিকিৎসার আওতায় আছে। অন্যরা এখনো চিকিৎসা শুরু করেনি বা নিজেরাও জানতে পারেনি।

Pop Ads

গ্লকোমা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক ডা. সিদ্দিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ গ্লকোমা সোসাইটি এবং গ্লকোমা, ল্যাসিক ও আইসিএল সার্জন, কনসালট্যান্ট, ভিশন আই হসপিটাল, ঢাকা

গ্লকোমা রোগে অনুভব করার মতো তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। ফলে কাউকে বোঝানোই মুশকিল যে আপনার গ্লকোমা রোগের আশঙ্কা আছে। চোখ দেখে অনেক সময় রোগ নির্ণয় করা যায়, কখনো খানিকটা সন্দেহ করা যায়। যখন পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায় না, তখন কিছু টেস্ট করাতে হয়।

আবার গ্লকোমা আছে নিশ্চিত হলে কিছু টেস্ট করাতে হয় রোগের গতিবিধি বোঝার জন্য।
কত বছর বয়সে হতে পারে?

গ্লকোমা যেকোনো বয়সেই হতে পারে। নারী বা পুরুষে তেমন ভেদাভেদ নেই। এই রোগ দৃষ্টির জন্য নীরব ঘাতক।

কয়েক রকমের হয়। একটি বা দুটি ধরনের ক্ষেত্রে অল্পস্বল্প ব্যথা হয় চোখে, চশমায় স্বস্তি পাওয়া যায় না, রাতের বেলা বা অল্প আলোতে দেখা যায় না।
এই রোগে একবার অন্ধ হয়ে গেলে আর কখনোই দৃষ্টি ফিরে পাওয়া যায় না। তবে রোগী একেবারে হঠাৎ করে অন্ধ হয়, তা-ও না। প্রায় ৪০ শতাংশের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হলে তখন একটু একটু করে রোগী নিজে বুঝতে পারে।

লক্ষণ ও প্রতিকার

অনেকেই বুঝতে চায় যে কী খেলে, কিভাবে ঘুমালে, কিভাবে চললে গ্লকোমা হবে না অথবা কিভাবে বাড়িতে বসে বুঝবে যে গ্লকোমা হয়েছে এবং এর প্রাথমিক লক্ষণ কী কী।

গ্লকোমার লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে যতই আলোচনা করা হোক না কেন, নিজে নিজে বোঝার মতো তেমন কিছু নেই। তাই বারবার চোখ পরীক্ষা করাতে হবে। ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

ঝুঁকি এড়াতে বছরে একবার চোখের ডাক্তারের কাছে গিয়ে গ্লকোমা আছে কি না তা পরীক্ষা করাতে হবে। চোখের প্রেসার মেপে অথবা অপটিক ডিস্ক দেখে সন্দেহ হলে গ্লকোমা থাকার কথা জানাতে পারেন চোখের ডাক্তার। প্রয়োজন অনুযায়ী তিনি চিকিৎসা শুরু করবেন অথবা আপনাকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের তালিকায় রাখবেন।