জ্বালানি তেল উত্তোলনে সিদ্ধান্তহীনতায় ওপেক প্লাস

জ্বালানি তেল উত্তোলনে সিদ্ধান্তহীনতায় ওপেক প্লাস

সুপ্রভাত বগুড়া ডেস্ক : আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন বাড়ানোর বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি তেল উত্তোলক ও রপ্তানিকারক ১৩ দেশের সংগঠন ওপেক। সোমবার (৪ জানুয়ারি) ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ার আগে জ্বালানি তেলের চাহিদা থাকায় তেলের উত্তোলন বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে আসছিল ওপেকভুক্ত কয়েকটি দেশ ও ওপেক প্লাস সদস্য দেশ রাশিয়া।

তবে, সোমবার ওপেক আয়োজিত বৈঠকে বাধার মুখে পড়েছে প্রস্তাবটি। এর আগের দিন জ্বালানি তেলের আগামীর বাজার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ করে উত্তোলন বাড়ানোর ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আগে যেন করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে তা যৌক্তিকভাবে বিবেচনা করা হয়; এমনভাবে সতর্ক করেছিল সংগঠনটির মহাসচিব মোহাম্মদ বারকিন্দো। সোমবার একই রকম অবস্থানের কথা জানিয়েছেন সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সালমান।

Pop Ads

তিনি বলেন, করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় বিনিয়োগসহ অর্থনীতির স্বাভাবিক ধারা আবার অনিশ্চয়তায় পড়েছে। বর্তমানে বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকায় এভিয়েশন খাতে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমেছে অনেক। কবে আবার স্বাভাবিক হবে তাও ঠিক মতো বোঝা যাচ্ছে না। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে বিশ্ববাজারে এক ব্যারেল ব্রেন্টের জ্বালানি তেলের দাম ৫০ ডলারের ওপরে থাকায় চলতি মাস থেকেই দৈনিক ৫ লাখ ব্যারেল উত্তোলন বাড়ানোর কথা ভাবছিল ওপেক।

বাজারে চাহিদা ও দামের মধ্যে সমন্বয় আনতে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে তেলের উত্তোলন কমানোর পথে চলতে শুরু করে সংগঠনটি। ২০২০ সালের মাঝামাঝি করোনার দাপটে দৈনিক প্রায় ১ কোটি ব্যারেল উত্তোলন কমিয়ে দেয় ওপেক। জ্বালানি তেলের উত্তোলন বৃদ্ধির ব্যাপারে সৌদি আরব বরাবরই সতর্কতার কথা বলে আসলেও সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সংগঠনটির বাইরের দেশ রাশিয়া উত্তোলন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে আসছে।