দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ে ভয় টাইগারদের?

68
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ে ভয় টাইগারদের?

চলতি বিশ্বকাপে চার ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪২৮, ৩১১, ২০৭, ৩৯৯। নিজেদের প্রতিটি ম্যাচেই ৩০০ এর বেশি রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছে তারা। এখন পর্যন্ত প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডবই চালাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। শ্রীলংকার বিপক্ষে ৪২৮ রান করে বিশ্ব রেকর্ডের পর বর্তমান ওয়ানডে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্কোরবোর্ডে ৩৯৯ রান তুলেছিল প্রোটিয়ারা। শুধু নেদারল্যান্ডসের ম্যাচ বাদে প্রতিটি ম্যাচেই ব্যাট হাতে আলোর দ্যুতি ছড়িয়েছেন তারা।

এদিকে বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে প্রোটিয়াদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় মাঠে নামবে উভয় দল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার দলের সাম্প্র্রতিক এ পারফরম্যান্স নিশ্চিতভাবেই সাকিববাহিনীর অন্যতম ভয়ের কারণ। প্রোটিয়াদের দাপুটে ফর্মের পাশাপাশি টাইগারদের মলিন ফর্মও এই ভয়ের অন্যতম কারণ।

Pop Ads

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ৩ ম্যাচে ১৩৬ রান খরচায় টাইগার অধিনায়কের শিকার ৫ উইকেট। অন্যদিকে মিরাজও শিকার করেছেন ৫ উইকেট।

তবে বরাবরই হতাশায় পুড়িয়েছে লাল-সবুজের পেস ইউনিট। যদিও বিশ্বমঞ্চে পেসারদের ওপরে আস্থা রেখেই দল সাজিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা হয়েছিল পাঁচ পেসারের। আর ইংলিশদের সঙ্গে হারের পর পেসার তাসকিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, ২০১৫ বা ২০১৯ বিশ্বকাপের তুলনায় এবারের পেস বিভাগই বেশি সফল। আবার উইকেট না পেয়ে মুস্তাফিজুর রহমান বলেছিলেন, অনেক সময় আল্লাহ-বিল্লাহ করেও উইকেট পাওয়া যায় না। এই দুই পেসারের ভাষ্য অনুযায়ী, একপ্রকার গোলকধাঁধায় আটকে গেছে লাল-সবুজের পেস বোলিং ইউনিট। কেননা, ১ ম্যাচ খেলে কেবল একটি উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ।

অন্যদিকে, ৪ ম্যাচে ১৬৩ রান খরচায় দ্য ফিজের শিকার মোটের ওপর দুই উইকেট। আরও সহজ করে বলতে গেলে, উইকেট প্রতি মুস্তাফিজ গড়ে ৮০ রান দিয়েছেন।

৫ উইকেট শিকার করতে ২০৬ রান দিয়েছেন আরেক পেসার শরিফুল। এর মধ্য ৪টি আবার শিকার করেছেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে। আর ৩ ম্যাচে ৩ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন।

একমাত্র আফগানদের সঙ্গে বাদে বাকি সবকটি ম্যাচেই একবারেই মলিন বোলিং বিভাগ। এমনকি চেন্নাইয়ের মন্থর উইকেটের ফায়দাও আদায় করতে পারেনি সাকিববাহিনী। এ ম্যাচে সাড়ে পাঁচের বেশি গড়ে রান খরচ করেছেন তারা। ভারতের বিপক্ষে দিয়েছেন ওভারপ্রতি ৬ এর বেশি।

এবার প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ের দিকে দৃষ্টি দেওয়া যাক। ডাচদের সঙ্গে অঘটনের ম্যাচ বাদে প্রতি ম্যাচেই ৬ এর বেশি গড়ে রান তুলেছেন স্কোরবোর্ডে। অজিদের বিপক্ষে ৬ দশমিক ২২ গড়ে রান তুললেও বাকি দুই ম্যাচে তাদের রানের গড় ওভারপ্রতি প্রায় ৮ এবং সাড়ে ৮। তাই এমন প্রতিপক্ষকে হয়তো বা ভয় পাওয়া ছাড়া বিকল্প নেই টাইগারদের।