নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

8
নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ৩০০ আসনে সশস্ত্র বাহিনীকে মাঠে রাখার নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকার নতুন তারিখ জানিয়েছে স্বশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেয়া হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের পক্ষে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এইচ এম মাসীহুর রহমানের সই করা এক পরিপত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনে আদেশ দেয়া হলো।

Pop Ads

নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে সশস্ত্র বাহিনীর নিয়োজিত দল ফৌজদারী কার্যবিধি ও অন্য আইন বিধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণায় থেকে জারি করা ‘ইন্সট্রাকশন রিগার্ডিং ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের’ ৭ম ও ১০ম অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে। মোতায়েনকৃত সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনী কাজে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরামর্শে ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিম্নরূপ সহায়তা দেবে।

> সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকায় নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবে।

> রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা/উপজেলা/থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে।

> সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে এবং আইন, বিধি ও ডদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম গৃহীত হবে।

> সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুরোধে এলাকাভিত্তিক ডেপ্লয়মেন্ট প্ল্যান চূড়ান্ত হবে।

> বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুরোধে চাহিদামতো আইনানুগ অন্য কার্যক্রম করা হবে।

নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকে নির্বাচনী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো এবং নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে রেকিদল পাঠানো যাবে। রেকিদল সীমিত রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।

সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনে যানবাহনের জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ ও ভাড়া, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দৈনিক ভাতা, কন্টিনজেন্সি, ক্যাম্প/বাসস্থান, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং টেলিফোন বিল নির্বাচন কমিশন বহন করবে।

১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন তারা। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

যাচাই-বাছাই ও আপিল নিষ্পত্তি শেষে ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানায়, সারাদেশে ২৭টি রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৯০০ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।