বগুড়া সদরের রাজাপুরে ইটের  প্রাচীর ভাংচুর, থানায় অভিযোগ

বগুড়া সদরের রাজাপুরে ইটের  প্রাচীর ভাংচুর, থানায় অভিযোগ
সজল রহমান: বগুড়া সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জয়বাংলা হাট সংলগ্ন একটি জমির প্রাচীর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুল আজিজ নামের এক ব্যক্তি। তিনি বগুড়া সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের মন্ডলধরণ গ্রামের মৃত মোবারক হোসেনের পুত্র।
থানার লিখিত অভিযোগ সুত্রে ও সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা যায়, ভুক্তভোগী আব্দুল আজিজ তার আপন বড়ভাই জহুরুল ইসলাম এর নিকট থেকে ২০১৫ সালে ৩৩৩২ নং কবলা দলিল মূলে ৩ শতক এবং ২০১৭ সালে ৩১৭৯ কবলা দলিল মূলে ১ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন। এরপর তার ক্রয়কৃত মোট ৪ শতাংশ  জায়গাটির সকল খাজনা খারিজ পরিশোধ পুর্বক শতাধিক গাছ লাগিয়ে অদ্যাবধি দখল করে আছেন। তবে বেশ কিছুদিন আগে উক্ত জায়গায় তিনি বাড়ি করার জন্য বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেন।
কিন্তু গত (১৬-০৭-২৩) রবিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার সময় পূর্বশত্রুতাবশত স্থানীয় মুখচেনা ৩ জন ব্যক্তি সহ আরো অপরিচিত ৭/৮ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভুক্তভোগী আব্দুল জলিল এর দখলকৃত বর্ণিত ৪ শতাংশ সম্পত্তিতে অনুপ্রবেশ করে সদ্য নির্মাণকৃত ইটের প্রাচীর ভেঙে ফেলে এবং প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে ফেলে আনুমানিক ১,২০,০০০/- টাকার ক্ষতিসাধন করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকেই দেখেছে। পরে বাদী আব্দুল জলিল সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সত্যতা পায়। পরে বাদী নিরুপায় হয়ে বগুড়া সদর থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা হিসাবে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বাচ্চু বলেন, “আব্দুল জলিলের দখলীয় পিছনের জমিটি রেজওয়ান নামের এক ব্যক্তির। এটি নিয়ে গ্রাম আদালতে বিচার চলমান রয়েছে। তবে এই ঘটনাটি যেই করে থাকুক না কেন তা অনাকাঙ্ক্ষিত। তবে বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতা নিয়ে দু’পক্ষই বসে সুষ্ঠু সমাধান করা যায় কিনা সেই চেষ্টা জনপ্রতিনিধি হিসাবে অব্যাহত আছে”। রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজিবুল ইসলাম খান রাজু’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “দুইপক্ষই আমাকে ঘটনাটি বলেছে। অই জায়গা নিয়ে আমার গ্রাম আদালতে বিচার চলমান আছে। রেজওয়ানের পক্ষ থেকেও থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারে বলে শুনলাম। তবে বিষয়টি সমঝোতার মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে সমাধান করায় শ্রেয় বলে মনে করি”।