বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেশি-বিদেশি অস্ত্র, আতঙ্ক

বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেশি-বিদেশি অস্ত্র, আতঙ্ক

কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলোতে দেশি অস্ত্রের পাশাপাশি বিদেশি অস্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদেশি অস্ত্রের উৎস সম্পর্কে অনুসন্ধান করলেও রহস্যের কোনো কূলকিনারা পাওয়া যাচ্ছে না। এতে বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি।

গত ৫ বছরে ক্যাম্পে ১০০ হত্যাকাণ্ড পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে ১০০ দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ গুলি।কক্সবাজারের উখিয়ার ৪ নম্বর ক্যাম্পের সি-৩ ব্লকের হেড মাঝি নুর আলম। তিনি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আশ্রয় নেন এই ক্যাম্পে।

Pop Ads

হেড মাঝি নুর আলম বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পে বেড়েছে অস্ত্রের ব্যবহার। এতে থাকতে হয় ভয়ে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ক্যাম্পে বেড়েছে খুনের ঘটনা। চলতি বছরে বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ক্যাম্পের হেড মাঝি বা সাব মাঝি। তাই অনেক রোহিঙ্গা রয়েছেন আতঙ্কে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ৫ বছরে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ক্যাম্পগুলোতে খুন হয়েছে ১১০ জনের বেশি রোহিঙ্গা।

উদ্ধার করা হয়েছে কয়েকশ দেশি-বিদেশি অস্ত্র। এর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র এম-১৬ ও আমেরিকান পিস্তল। দেশিয় অস্ত্রের জোগান স্থানীয়ভাবে মিললেও বিদেশি অস্ত্রের জোগান কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের  ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন সময় ক্যাম্পে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে।

সব মিলিয়ে একটি অস্থায়ী অবস্থা বিরাজ করছে ক্যাম্পে। উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে রোহিঙ্গাদের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ হিসেবে পরিচিত করতে ওই অস্ত্রগুলো ক্যাম্পে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে; যাতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা না হয়।

উখিয়ার এপিবিএন-৮ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরান হোসেন বলেন, এ অস্ত্রগুলো সাধারণত রোহিঙ্গাদের মধ্যে যে ছোট ছোট গ্রুপ রয়েছে, তারা আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি ও অন্যের প্রতি যে ক্ষোভ রয়েছে তা চরিতার্থ করার জন্য এ অস্ত্রগুলো ব্যবহার করছেন।

এ অস্ত্র যেন ক্যাম্পে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য সাদা পোশাকে আমাদের এপিবিএনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গত ৫ বছরে ২ হাজার চার শতাধিক মামলায় আসামি হয়েছে ৫ হাজার ২২৬ জন। এর মধ্যে ১০০টি হত্যা, ১৮৫টি অস্ত্র, এক হাজার ৬৩৬টি মাদক, ৮৮টি ধর্ষণ ও ৩৯টি অপহরণ মামলা।