আরেকটি বিশ্বকাপ দরজায় কড়া নাড়ছে। আগামী ৫ অক্টোবর ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে ভারত বিশ্বকাপের। তার আগে দেখে নেওয়া যাক আইসিসির চোখে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ পাঁচ ইনিংস ও বোলিং ফিগার…
পাঁচ ইনিংস
ওয়েলিংটনে সেদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের ওপর দিয়ে তান্ডব চালিয়েছিলেন মার্টিন গাপটিল। শুধু তাই নয়, ইনিংসে বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও নিজের নামে লিখিয়েছিলেন এই ওপেনার।
সেটিই কোনো কিউই ব্যাটসম্যানের ওয়ানডেতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। ২০১৫ বিশ্বকাপের ম্যাচটি ১৪৩ রানে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড।
ক্রিস গেইল-১৪৭ বলে ২১৫ রান
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের মার্টিন গাপটিল যে স্বাদ দিয়েছিলেন, ক্রিস গেইল সেটাই দেন জিম্বাবুয়ের বোলারদের। ক্যানবেরাতে ১০ চার ১৬ ছক্কায় বিশ্বকাপের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান বনে যান গেইল।
ক্রিস গেইলের হাত হয়ে মার্টিন গাপটিলের কাছে যাওয়ার আগে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস ছিল গ্যারি কারস্টনের। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে রাওয়ালপিন্ডিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে অপরাজিত ১৮৮ রান করেছিলেন কারেস্টন। দুই দশক টিকেছিল এই রেকর্ড।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে কারেস্টনের রেকর্ড ভাঙার খুব কাছে গিয়ে ফিরে এসেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি।
টনটনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮৩ রান করেছিলেন সাবেক এই ভারত অধিনায়ক।
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডাস-১২৫ বলে ১৮১ রান
বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংসের ছোট্ট তালিকার ওপরের দিকে থাকবে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডাসের এই ইনিংসটি। ১৯৮৭ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কান বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিয়েছিলেন এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি।
বোলিং ফিগার
অস্ট্রেলিয়ার ২০০৩ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক গ্লেন ম্যাকগ্রা। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে জহির খানের শেষ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
এর আগে নামিবিয়ার বিপক্ষে ১৫ রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড গড়েছিলেন ম্যাকগ্রা।
অ্যান্ডি বিকেল- ২০ রানে ৭ উইকেট
একই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বোলিংয়ে আগুন ঝরিয়েছিলেন অ্যান্ডি বিকেল। পোর্ট এলিজাবেথে সেদিন ইংলিশদের বিপক্ষে ১০ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন বিকেল।
২০১৫ বিশ্বকাপে টিম সাউদির সামনে রীতিমতো অসহায় ছিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ওয়েলিংটনে ৩৩ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন সাউদি। ১২৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ইংলি
১৯৮৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিধ্বংসী রূপ দেখিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলার উইনস্টন ডেভিস। যদিও এই ফর্ম বিশ্বকাপের সামনের ম্যাচগুলোতে টানতে পারেননি ডেভিস। যার ফল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে একাদশে জায়গা হারান।
চিরপ্রতিদ্বন্দি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন গ্যারি গিলমোর। ১৯৭৫ বিশ্বকাপে লিডসে ১৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেসার। সে ম্যাচে ইংলিশিরা অলআউট হয়েছিল ৯৩ রানে।
