বুধবার থেকে আবারও ভার্চুয়ালি চলবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ

বুধবার থেকে আবারও ভার্চুয়ালি চলবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ

করোনার সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে বুধবার থেকে আবারো ভার্চুয়ালি বিচারকাজ চলবে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদেশক্রমে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে সকালে আদালতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান প্রধান বিচারপতি। এসময় তিনি মন্তব্য করেন, ইতিমধ্যে আমাদের ১৩ জন বিচারপতি ও নিম্ন আদালতের ৩৬ জন বিচারক আক্রান্ত হয়েছেন।

অনেক স্টাফও আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা হয়তো আবার ভার্চুয়াল কোর্টে ফিরে যাব। ভার্চুয়াল আদালতে কম মামলা নিষ্পত্তি হয় এটা ভাবার সুযোগ নেই। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ৯ জানুয়ারি শপথ নিতে পারেননি আপিল বিভাগের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান। আক্রান্ত হয়েছেন হাইকোর্টের ১৩ বিচারপতি ও বিচারিক আদালতের ৭৯ বিচারক। অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, একজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ করোনা আক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী।

Pop Ads

মঙ্গলবার করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এক আইনজীবী। পরিস্থিতি বিবেচনায় বিচারিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি চালানোর পক্ষে মত দেন প্রধান বিচারপতি। পরে প্রধান বিচারপতির সাথে দেখা করে শর্ত সাপেক্ষে ভার্চুয়াল আদালতকে সমর্থন দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক। মঙ্গলবার বিকেলেই আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে ভার্চুয়ালি বিচারিক কার্যক্রম চালানোর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। এরপর বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে পৃথক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।

প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৯ জানুয়ারি (বুধবার) হতে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন-২০২০’ এবং এ–সংক্রান্ত জারি করা প্র্যাকটিস ডিরেকশন (ব্যবহারিক নির্দেশনা) অনুসরণ করে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত অপর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে করোনা সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৯ জানুয়ারি হতে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন-২০২০’ এবং এ–সংক্রান্ত জারি করা প্র্যাকটিস ডিরেকশন (ব্যবহারিক নির্দেশনা) অনুসরণ করে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সব বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে ভার্চুয়াল আদালত চালু হয়, চলে প্রায় দুই বছর।