ভারতের মোট উন্নয়ন সহযোগিতার ২৫ ভাগই পাবে বাংলাদেশ

ভারতের মোট উন্নয়ন সহযোগিতার ২৫ ভাগই পাবে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল সোমবার ভারত পৌঁছেছেন। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও দুই দেশেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগ দিয়ে শেখ হাসিনার এ সফর নানা কারণে তাৎপর্যপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রীর এ সফর নিয়ে গতকাল এই বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা।

‘ঘনিষ্ঠতম’ ঢাকাকে বার্তা দিল্লির শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- প্রতিবেশী বলয়ে বাংলাদেশই যে ভারতের কাছে ভূকৌশল এবং ভূ-অর্থনীতিতে ঘনিষ্ঠতম রাষ্ট্র, সোমবার থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরের ঠিক আগেই এ বার্তা দিতে চাইছে দিল্লির সাউথ ব্লক।

Pop Ads

প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বিপক্ষীয় কিছু বিষয় বকেয়া রয়েছে ঠিকই। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ যে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার, এ কথা মনে করিয়ে নয়াদিল্লি সূত্র বলছে- ভারতের মোট উন্নয়নের সহযোগিতার ২৫ শতাংশ শুধু বাংলাদেশের জন্যই বরাদ্দ হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ প্রশ্নে কোনো ‘ধীরে চলো’ নীতিতে বিশ্বাসী নয় নয়াদিল্লি।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বক্তব্য, ‘গত এক বছরে আমাদের লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) সবচেয়ে বেশি ছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের জন্য। কোনো দেশের নাম না করেই বলতে চাই- এত দ্রুত কম সুদে (বছরে ১ শতাংশ) ঋণ কেউ বাংলাদেশকে দেয়নি।’ জানানো হচ্ছে, ভারত তার ঋণের এক বিলিয়ন ডলার ইতোমধ্যে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে নেপাল ও ভুটানে পণ্য রপ্তানিতে ভারতের বিনামূল্যে ট্রানজিটের সুবিধা দেওয়া দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার একটি বড় ধাপ বলে মনে করে দিল্লির সাউথ ব্লক। পাশাপাশি এ কথাও বলা হচ্ছে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ভারত ব্যবহার করতে পারায় একদিকে যেমন দেশটির উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বাড়বে, উপকৃত হবে ঢাকাও। তাদের উৎপাদন এবং রপ্তানি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে লক্ষণীয় রকম বাড়বে বলে আশা করে ভারত। তা ছাড়া যে ট্রানজিট ফি বাংলাদেশ পাবে, তার পরিমাণও খুবই ভালো।

ভারতের হিসাবে ২০১০ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের সহায়তার মোট পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি ডলার। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় হাজার ডলারের কাছাকাছি। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে সম্পর্কের গতি গত এক দশকে কত দ্রুত বেড়েছে। এদিকে গতকাল এক টুইটে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, দিল্লিতে রাষ্ট্রীয় সফরে আসা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রেলওয়ে ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। তার এই সফর দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।