মৌমাছির বিষে ভালো হবে স্তন ক্যান্সার !

সুপ্রভাত বগুড়া (স্বাস্থ্য কণিকা): মৌমাছিতে থাকা বিষ এবং এর মধ্যে থাকা মেলিটিন নামের উপাদান স্তন ক্যানসারের চিকিৎসায় কার্যকর বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, ওই উপাদান ব্যবহার করে ট্রিপল নেগেটিভ ও এইচইআর২-নামে দুই ধরনের স্তন ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করতে সমর্থ হয়েছেন তারা।

তবে অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা তাদের এই আবিষ্কারকে ক্যানসার নিরাময়ে আশা জাগানিয়া মনে করলেও এ নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, প্রতিবছর বিশ্বে ২১ লাখ নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। বিভিন্ন ধরণের স্তন ক্যানসারের মধ্যে ট্রিপল নেগেটিভ ক্যানসার বেশি আগ্রাসী।

Pop Ads

সাধারণত ১০ থেকে ১৫ শতাংশ স্তন ক্যানসার হয় এই প্রকৃতির। বর্তমানে এটি নিরাময়ে অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি ব্যবহার হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরীক্ষাগারে ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে সক্ষম হাজারো উপাদানের খোঁজ পাওয়া গেলেও বাস্তবে চিকিৎসায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেগুলো খুব কমই কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

এর আগেও অন্য ধরনের ক্যানসার কোষ ধ্বংসে মৌমাছির বিষের কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। আর এবারের গবেষণায় স্তন ক্যানসারের চিকিৎসায় এটি কার্যকর বলে প্রমাণ পেলেন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার হ্যারি পারকিনস ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল রিসার্চের গবেষকরা।

গবেষণাটিতে তিনশ’রও বেশি মৌমাছি থেকে সংগৃহীত বিষ পরীক্ষা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানান, বিষের মেলিটিন নামের উপাদান ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রুখতে এমনকি বন্ধ করে দেয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর। এছাড়া মেলিটিন প্রাকৃতিকভাবে মৌমাছির বিষে থাকলেও কৃত্রিমভাবেও এটি বানানো যায়।

এই প্রকল্পের প্রধান গবেষক সিয়ারা ডাফি জানান, মৌমাছির বিষ ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে মারাত্মক শক্তিশালী বলে প্রমাণ মিলেছে। বিষের একটি উপাদান এক ঘণ্টার মধ্যে ক্যানসার কোষ ধংস করতে পারে। তবে মাত্রা বাড়ালে বিষক্রিয়ার আশঙ্কার কথা জানান সিয়ারা ডাফি। ক্যানসারের ওষুধ হিসেবে এটি ব্যবহার উপযোগী করে তোলার আগে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here