যে ইসলামি সংগঠনকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দিল যুক্তরাষ্ট্র

যে ইসলামি সংগঠনকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দিল যুক্তরাষ্ট্র

সুপ্রভাত বগুড়া (আন্তর্জাতিক): চীনের জিনজিয়াংয়ের প্রদেশে হামলার দায়ে অভিযুক্ত সংগঠনকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী দলের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার (৬ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আইন ও নীতিমালা প্রকাশের পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানান, ইস্ট তুর্কমেনিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (ইটিআইএম) দলকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

পররাষ্টমন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ইটিআইএম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। কারণ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তাদের অবস্থানের কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’ ২০০৪ সালে জর্জ ডব্লিও বুশ প্রশাসন ইটিআইএম-কে সন্ত্রাসী দলের তালিকায় যুক্ত করে। চীনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র পরিচালনাধীন সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের অংশ হিসেবে এমনটি করা হয়।

Pop Ads

এদিকে বেইজিং হামলার জন্য প্রতিনিয়ত ইস্ট তুর্কমেনিস্তান ইসলামিক মুভম্যান্টকে দোষারোপ করে আসছে। জিংজিয়ান প্রদেশে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার এমনটি করছে বেইজিং সরকার। তবে ওখানকার মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এক মিলিয়ন বা তারও বেশি উইঘুর বা তুর্কি ভাষী অধিকাংশ মুসলিমদেরকে বিশেষ শিবিরে বন্দী করে রাখা হয়।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছে, চীন জোড়ালোভাবে প্রমাণ করতে পারেনি যে তুর্কমেনিস্তান ইসলামিক মুভম্যান্ট একটি সংগঠিত গোষ্ঠী বা জিংজিয়ানে হামলার জন্য তারা দায়ী। ওয়াশিংটন ভিত্তিক উইঘুর মানবাধিকার সংগঠন এ সিদ্ধান্তকে ‘চীনের দাবীগুলোর চূড়ান্ত প্রত্যাখ্যান’ বলে উল্লেখ করে। মানবাধিকার সংস্থার প্রধান পরিচালক উমের কানাত বলেন, ‘কল্পিত হামলায় ইটিআইএম-কে শোষণ করতে চীনের গৃহীত নানা উদ্যোগের বিষয়টি সত্য। গত ২০ বছর যাবত উইঘুরে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস অব্যাহত আছে।’

জিংজিয়ানে চীন সরকার ইসলামী মৌলবাদের মাত্রা কমাতে বিশেষ শিবির স্থাপন করেছে। চীন সরকার এটিকে ভোকেশনাল সেন্টার বলে অভিহিত করে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছে, চীন সরকার ইসলামী রীতি-নীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে উইঘুর মুসলিমদের জোরপূর্বক কম্যুনিস্ট আদর্শ শেখানোর চেষ্টা করছে

এর আগে পম্পেও চীনের গণ-বন্দীদশাকে ‘শতাব্দির দাগ’ বলে আখ্যায়িত করেন এবং মার্কিন সিনেটরদের পক্ষ থেকে উইঘুরদের সঙ্গে চীন সরকারে আচরণকে গণহত্যা বলে ঘোষণা দেওয়ার চেষ্টা করেন। চীন ইসলামিক মুভমেন্টের অনেক হামলার শিকার হয়। তখন কর্তৃপক্ষ এর জন্য উইঘুরের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে অভিযুক্ত করে। সূত্র : দ্যা গার্ডিয়ান