শাজাহানপুরে কলেজ গভনিং বডির সভাপতি না হয়েও সভাপতির দায়িত্ব পালন!

শাজাহানপুরে কলেজ গভনিং বডির সভাপতি না হয়েও সভাপতির দায়িত্ব পালন!

আবদুল ওহাব শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার শাজাহানপুরে গোহাইল ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজের গভর্ণিংবডির মেয়াদ উর্ত্তীণ হওয়ার পরেও বিধি বহিভুর্তভাবে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে উপজেলা যুবলীগের সিনিয়ির সহ-সভাপতি আলী ইমাম ইনোকী। তার বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হলে তা তদন্তের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা খানম কলেজের সকল কর্মকান্ড থেকে তাকে বিরত থাকতে নির্দেশ প্রদান করেন।

শনিবার ৬ মে এবিষয়ে নির্দেশনা হাতে পেয়েছেন বলে জানান,সংশ্লিষ্ট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোতাহার হোসেন মুকুল। ঐ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ন হলে সেই কমিটি অত্র প্রতিষ্ঠানের কোন কার্য়ক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। অথচ বিধি বর্হিভুতভাবে তিনি এতোদিন দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

Pop Ads

জানাগেছে, উপজেলার গোহাইল ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজের গভর্ণিংবডির ৬ মাস মেয়াদী এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হয় গত ০৪ আগষ্ট ২০২২ইং। এরপর ৭ আগষ্ট ২০২২ইং তারিখে নির্বাচন হয়। এতে গভনিং বডির সভাপতি হিসেবে একজন যুবলীগ নেতা আলী ইমাম ইনোকী,আরেকজন তার চাচা এবং অপরজন তার ছোট ভাইয়ের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হয়।

বিষয়টি দৃষ্টিকটু মনে হলে তদন্ত সাপেক্ষে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড এই নির্বাচনী ফলাফল স্থগিত করে রাখে।
এতে করে গোহাইল ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজে বর্তমানে কোন গভনিং বডি অনুমোদিত হয় নাই এবং
গভর্ণিংবডিহীন হয়ে পরে প্রতিষ্ঠানটি। এমনি করে কেটে যায় দীর্ঘ ৮ মাস। এবিষয়ে শিক্ষা বোর্ড সুত্রে জানাযায়, এডহক কমিটির মেয়াদ ছয় মাস পূর্ণ হলে কোন ভাবেই সেই কমিটির কোন কার্য়কারিতা থাকে না।

অথচ খোজ নিয়ে দেখাগেছে, আইন অণুযায়ী কাগজে কলমে প্রতিষ্ঠানটির গভনিং বডির সভাপতি পদে কেউ না থাকলেও ওই পদে অঘোষিতভাবে সভাপতি পদে বহাল আছেন যুবলীগ নেতা আলী ইমাম ইনোকী। তার নামে বিভিন্ন জায়গায় চিঠিপত্র দেওয়া হয় এবং শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন বিলেও তিনি স্বাক্ষর করছেন। যা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত।

এদিকে কলেজ সুত্রে জানাগেছে, এমন অবস্থায়ও তাড়াহুরো করে প্রতিষ্ঠানটির ২টি পুকুর লীজ দিতে তিনি সিডিউল বিক্রির চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিভাবক সদস্যগন অভিযোগ দিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে এই সিডিউল বিক্রি ভেস্তে যায়।

এছাড়াও গত ৩রা মার্চ উপজেলার চেলো গ্রামের ইদ্রিস আলীর পুত্র আব্দূল লতিফ বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর গভর্ণিং বডির সভাপতি হিসেবে আলী ইমাম ইনোকির কার্যকারিতা ও তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তে এসবের সত্যতা প্রমান পাওয়ায় কলেজের সকল কর্মকান্ড থেকে তাকে বিরত থাকতে নির্দেশ প্রদান করেন।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, গোহাইল ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজে বর্তমানে গভনিং বডির মেয়াদ উত্তীর্ন হয়েছে। আর বিধান অনুযায়ী মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে সে অত্র প্রতিষ্ঠানের কোন কার্য়ক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। আর বিষয়টি নিয়ে আলী ইমাম ইনোকীর মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছে,তাদের নির্দেশ মোতাবেক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছি।