সুপ্রভাত বগুড়া (অভিজিৎ বাপ্পী শিবগঞ্জ প্রতিনিধি): বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মোকামতলা হাট যেন ময়লা ফেলার ডাস্টবিন। গণ সৌচাগারের ড্রেন, মুরগি ড্রেসিং করার উচ্ছিষ্ট ও গরু-ছাগল জবাই করার কসাই খানার কারণে নোংরা ময়লা জমে হাটের এলাকাটি একেবারে ডাস্টবিনে পরিনত হয়েছে। হাট কমিটির উদাসিনতার কারনে ঐ হাট এলাকায় অবস্থিত মোকামতলা কেন্দ্রীয় মন্দির সংলগ্ন ও যাতায়াতের রাস্তায় পথচারি এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সরেজিমেন গিয়ে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলার একমাত্র হাইওয়ে বিশ্ব রোডের ব্যস্ততম বন্দর মোকামতলা। উপজেলায় সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায়ে যেকটি হাট বসে তার মধ্যে মোকামতলা হাট অন্যতম। কিন্তু হাটের আশেপাশে দেখলে মনে হবে যেন ময়লার ভাগাড়। এলাকাবাসী হাটের সংশ্লিষ্টদের ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কে বার বার বলা সত্বেও কোন কাজে আসেনি।
অবশেষে কোন উপায় না পেয়ে মন্দির কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে গণসৌচাগার, মুরগির মাংসপট্টি ও কসাই খানা অন্যত্র সরে নেওয়ার জন্য অভিযোগ দায়ের করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়ঃশিবগঞ্জ উপজেলার ব্যস্ততম ব্যবসায়িক বন্দরের মধ্য একটি মোকামতলা হাট।এই হাটে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। কেহ আসে পণ্য বিক্রি করতে আবার কেহ আসে কিনতে। হাটের সরু গলি পথেই মোকামতলা বন্দর হিন্দু সম্প্রদায়ের শত শত বছরের প্রাচীন একমাএ কেন্দীয় মন্দির।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সকলেই ধর্মীয় কার্যক্রম পালন করে আসছে মন্দিরে। কিন্তু রাস্তা মন্দির প্রাচীর সংলগ্ন গণ সৌচগার, মুরগির মাংসপট্টি, গরু মাংস পট্রি ও কসাই খানা হওয়ার কারনে দিন দিন বর্জ্য ও গণ সৌচগারের হাউজ এবং ড্রেন ভরে যাওয়ায় এবং আংশিক মন্দিরে দূষিত বর্জ্য চলে আসায় মন্দিরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
মন্দির কমিটির পক্ষে প্রকাশ চন্দ্র সাহা, গৌরাঙ্গ, পিটু কুমার সাহা, উজ্জ্বল সাহা, সঞ্জিত বলেন, মন্দিরের যাতায়াত রাস্তায় পঁচা পানি ও মল রাস্তায় জমে থাকায় প্রতিনিয়তই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আর মাত্র কয়েক দিনপর আমাদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় শারদীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপন হতে যাচ্ছে। অথচ আমাদের এই দূষিত পরিবেশে কয়েক বছর হল সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। আমাদের পবিত্রতা বলে কিছু থাকছে না।
এব্যাপারে মোকামতলা ইউপি চেয়ারম্যান মোকলেছার রহমান খলিফা বলেন, উপজেলা পরিষদ থেকে হাটটি পরিষ্কার পরিছন্ন করার জন্য একটি প্রকল্প দিয়েছে। অচিরেই এই কার্যক্রম শুরু হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।