সামরিক সরকারের নিষেধাজ্ঞা ও হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করেই রাজপথে গণবিক্ষোভ অব্যাহত

সামরিক সরকারের নিষেধাজ্ঞা ও হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করেই রাজপথে গণবিক্ষোভ অব্যাহত

সুপ্রভাত বগুড়া (আন্তর্জাতিক): সামরিক সরকারের নিষেধাজ্ঞা ও হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করেই রাজপথে গণবিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে মিয়ানমারে। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী নেইপিদোর বিক্ষুব্ধ জনতার আন্দোলন প্রতিরোধ করতে জলকামান, রাবার বুলেটের পাশাপাশি তাজা গুলি ছোড়ে নিরাপত্তা সদস্যরা। এতে এক নারী গুলিবিদ্ধ হলে সেখানেই লুটিয়ে পড়েন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসকদের বরাতে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ওই নারী মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, আন্দোলনে অংশ নেওয়া ওই নারীর মাথায় গুলি লাগে। এখন তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে সশস্ত্র সদস্যদের বলপ্রয়োগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকারকর্মীরা। এদিন আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

Pop Ads

এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী বলছে, বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তবে এই বক্তব্য অস্বীকার করে ঘটনাস্থলে থাকা কজন চিকিৎকের দাবি, পুলিশ সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করেই তাজা গুলি নিক্ষেপ করে। দিন দিন জান্তা সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ক্রমেই জোরাল হচ্ছে। সামরিক সরকারের সতর্কতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাদের ক্ষমতা ছাড়তে ও সু চির মুক্তি দাবিতে গত পাঁচদিন ধরে রাজপথে শক্ত অবস্থানে আন্দোলনকারীরা।

তবে দ্রুতই নির্বাচনের আয়োজন করে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তাতে কোনো সুফল পাচ্ছে না সামরিক সরকার। সেনা শাসকের বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদের মধ্যে সু চির রাজনৈতিক কার্যালয় ন্যাশনাল লীগ ফল ডেমোক্রেসির (এনএলডি) অভিযান চালিয়ে ভবনে তাণ্ডব চালানো হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক সরকার। আগামী এক বছরের জন্য দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করে ক্ষমতা দখলে নিয়েছে।