স্বাস্থ্যবিধি মানলে দুই সপ্তাহে মৃত্যু ও শনাক্ত কমবে : জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): কিছুটা কষ্ট হলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের তীব্রতা ও মৃত্যু কমাতে সবাইকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকলে দুই সপ্তাহে কাঙ্ক্ষিত ফল মিলবে। আর তেমনটি না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার পাশাপাশি দেশ দীর্ঘমেয়াদী লকডাউনের গ্যাঁড়াকলে আটকা পড়তে পারে বলে সতর্ক করলেন তারা। ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ সফল করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

জরুরি প্রয়োজন ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন ছাড়া সড়কে অন্যান্য যান চলাচলে কড়াকড়ি অবস্থানে পুলিশ। রাজধানীর রাস্তার মোড়ে মোড়ে পাহারা বসিয়ে চলছে তদারকি। ‘সর্বাত্মক লকডাউনের শুরুটা ভালোভাবেই হয়েছে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এভাবে বাকি দিনগুলোতেও সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। বাংলাদেশ পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ড. তৌফিক জোয়ার্দার বলছেন, মানুষের বাইরে যাওযার প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণ করার নামই হচ্ছে লকডাউনের কাজ।

Pop Ads

সেই দৃষ্টিকোণ থেকে লকডাউন যথেষ্ট ভালো হয়েছে। করোনা প্রতিরোধ জাতীয় কারিগরি বিশেষজ্ঞ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলছেন, এভাবে যদি পরপর দুটি সপ্তাহ পূর্ণাঙ্গ লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে বোধয় আমরা সংক্রমণের লাগামটা টেনে ধরতে পারব। এ বিষয়ে রোগতত্ত্ব, রোগ-নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলছেন, করোনার যে বিশাল ঢেউ উঠেছিল তা কিছুটা আগামী সপ্তাহে স্থিতিশীল হবে বলে আশা করছি।

তবে মৃত্যু স্থিতিশীল হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। সবাইকে বিধি-নিষেধ মানতে হবে। তাহলে ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে সব কাজই করা যাবে। যদি স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে একসঙ্গে সব কাজ করতে যাওয়া হয় তাহলে কিন্তু অনেকদিন ঘরে বসে থাকতে হবে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়ঙ্কর পরিণতি থেকে রক্ষায় সবাইকে ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার পরামর্শ ছিল বিশেষজ্ঞদের কণ্ঠে।

কার্যকর ফলাফল পেতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা টানা দুই সপ্তাহ ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’র পরামর্শ দিলেও সরকার ঘোষণা করেছে এক সপ্তাহ। যদিও লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে বলেও ঘোষণা দেয়া আছে। তাই রাখঢাক না করে ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’র মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন এই তিন বিশেষজ্ঞ।