শেরপুর সরকারী রাজস্ব আদায়ে বাঁধা প্রদানে চাম বক্কর সহ ০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা !

শেরপুর সরকারী রাজস্ব আদায়ে বাঁধা প্রদানে চাম বক্কর সহ ০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা !
সুপ্রভাত বগুড়া (নিজস্ব প্রতিবেদক): বগুড়া শেরপুরে সরকারী রাজস্ব আদায়ে বাঁধা প্রদান করায় শ্রী নব কুমার সূৰ্য্যবাদী হয়ে চাম বক্কর সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।গত ১৮ অক্টোবর রবিবা ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১০৭/১১৭ ধারা অনুযায়ী জুডিসিয়াল ম্যাজিঃ আদালতে মামলা দায়ের করেছে। মামলা সুত্রে জানা যায় যে, বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ী হাট-বাজার সরকার কর্তৃক টেন্ডার এর মাধ্যমে ইজারা প্রদান করিলে আজাহার আলী উক্ত হাট প্রাপ্ত হইয়া বাদীর মাধ্যমে সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী উক্ত হাটের টোল/খাজানাদী উঠানাের মাধ্যমে হাট-বাজার পরিচালনা করিয়া আসছিল।
কিন্তু পথিমধ্যে বেতগাড়ী গ্রামের মৃত ওসমান শেখের ছেলে মােঃ আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে চাম বক্কর (৪৫) ররােয়া গ্রামের সবুর সেখের ছেলে হেলাল সেখ (৪০), সিমাবাড়ী গ্রামের শরিফ খানের ছেলে মহিরুল ওরফে সার্ভিস খান (৪৪), মৃত সেকেন্দার প্রাং ছেলে সােলেমান প্রাং (৪৮), বেটখর গ্রামের মৃত ছবদের সেখের ছেলে আব্দুল হামিদ (৫০), বেতগাড়ী গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে সুজন সেখ (২২), ররােয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে দুলাল মিয়া (৪৯), মৃতঃ মহির উদ্দিন সেখের ছেলে নেকবর সেখ (৫০) সহ অজ্ঞাত নামা আরাে ২০/২৫ জন একে অপরের সাথে যােগসাজসে বে-আইনীভাবে এবং সরকারের অনুমােদন ব্যতিত একটি অবৈধ সংগঠন গঠন করিয়া এলাকার নিরিহ এবং শ্রমজীবি লােকদের নিকট হইতে বে-আইনী ভাবে বাধ্য করিয়া প্রতিনিয়ত চাঁদা নিয়ে থাকে।
এছাড়াও তাহারা অধিকাংশ ব্যক্তি মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ী বটে যাহার রেকর্ড এবং মামলা চলমান রহিয়াছে। উক্তরুপ চলা অবস্থায় নব কুমার সূর্য সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সরকারী রাজস্ব টোল/খাজনা উঠানাের জন্য গেলে টোল/খাজনা আদায়ে বেআইনী ভাবে বাঁধা প্রদান করে বাদীর নিকট হতে ১লক্ষ টাকা এবং প্রতি হাটে ২ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে মারপিট করে। যাহা প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল ম্যাজিঃ আদালতে ২৯৮ সি/২০(শেরপুর) নং মামলা চলমান আছে। আসামীগন বিভিন্ন লােকজন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে বিষয়টি লিখিত ভাবে আপােষ-মিমাংসা করার চেষ্টা করে।
তৎপর যথা সময়ে বাদী পূর্বের ন্যায় উক্ত হাটে লােকজন লইয়া সরকারী রাজস্ব/টোল/খাজনা উঠাইতে গেলে ঘটনাস্থলে পৌছামাত্রই সকল আসামীগন। একদলবদ্ধ হয়ে বাদী ও সাক্ষীগনকে চতুরদিক থেকে ঘিরে ধরে মারার জন্য উদ্দোত হলে তাদের চিৎকারে আশেপাশের লােকজন এগিয়ে এলে বিভিন্ন ধরনের ভয় ভিতি ও হুমকি প্রদর্শন করে চলে যায়।
এছাড়াও বলে যে,বাদী যদি তাদের কথা মতাে টাকা দিতে রাজি না হয় তাহলে তাকে এবং তার লোকজনদেরকে তাদের এলাকায় শান্তিতে ব্যবসা পরিচালনা করিতে দিবে না প্রয়োজনে যেই হাটের টোল/খাজনা উঠাতে আসবে তাকেই এবং বাদীকে ভারাটিয়া সন্ত্রাসী লোকজন দ্বারা চির জীবনের মত শেষ করে ফেলার হুমকিও প্রদান করেন।