স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার ঠনঠনিয়া ঢাকা বাস্ট্যান্ড রেড জোন এলাকার মধ্যে পড়ায় সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু বাসগুলো রেড জোনের বাইরে স্বাভাবিক কাজকর্ম পরিচালনা করতে পারবে । আন্তঃ জেলা বাস মালিক সমিতির সহযোগিতায় দড়ি দিয়ে প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয় যাতে বাস পার্কিং বা যাত্রী উঠানামা না করতে পারে।
উল্লেখ যে ঠনঠনিয়া থেকে রাজধানী ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, সিলেট ও দেশের বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল করে। এছাড়াও রেড জোনে অবস্থিত ভাসমান সিএনজি স্টান্ড সরিয়ে দেওয়া হয় ও জরিমানা করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম. রাশেদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পৌরসভার জলেশ্বরীতলা, ঠনঠনিয়া, মালতিনগর, সূত্রাপুর এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন।
রেড জোন এলাকায় অভিযান চালিয়ে, নির্দেশনা উপেক্ষা করে দোকানপাট খোলা রাখায় এবং স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এবং দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা পৃথক ৮ টি মামলায় ৪৩০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
সকাল ১০.৩০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত পৌর শহরের রেড জোন ঘোষিত এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, জলেশ্বরীতলা, ঠনঠনিয়া, মালতিনগর রেড জোনে কিছু দোকান খোলা পাওয়া যায় যা জরিমানা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এছাড়াও রেড জোন সূত্রাপুর দিয়ে বিকল্প পথ হিসাবে ফাঁকি দিয়ে আন্তসিটি বাস চলাচল করতে দেখা যায়। রেড জোন এলাকায় বাস চলাচল করা বন্ধ করা হয়।
ইচ্ছাকৃত মাস্ক ব্যবহার না করা ও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ না করায় বগুড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় জনগণকে সচেতন করা হয় ও জরিমানা করা হয়। এসময় যাদের মাস্ক ছিল না তাদের কে মাস্কও উপহার দেওয়া হয়।