আগামী দুদিনের মধ্যে আরো ১৭ জেলা প্লাবিত হতে পারে!

আগামী দুদিনের মধ্যে আরো ১৭ জেলা প্লাবিত হতে পারে!

গত কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ। শনিবার ভোর ছয়টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত সিলেটে ৫৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর তাতেই বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটাতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

সংস্থাটি বলছে, আগামী দুই দিনের মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের আরো ১৭টি জেলা প্লাবিত হতে পারে। কারণ সেসব এলাকায় বন্যার তীব্রতা বাড়ছে, আর এর আশেপাশের নদীগুলোর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। ফলে জামালপুর, বগুড়া, শেরপুর, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, লালমনিরহাট, নীলফামারি ও পাবনায় বন্যা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

Pop Ads

এছাড়া নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভিবাজারে বন্যা ছড়িয়ে পড়তে পারে। বন্যার পানি আরও নীচের দিকে নেমে এলে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শরীয়তপুর ইত্যাদি এলাকা প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সেই সঙ্গে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে।সবমিলিয়ে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে সারা দেশের ১০৯টি নদী পর্যবেক্ষণ করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তার মধ্যে ৯৫টি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সএবিষয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, ”সিলেট, সুনাগমঞ্জ এলাকায় আজ (শনিবার) এবং আগামীকালও বৃষ্টি হবে। ফলে সেসব এলাকার বন্যার পানি আরো বাড়তে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। সেই সঙ্গে যমুনা নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।”

তিনি আরো জনান, সিলেটের ৬০ শতাংশ ও সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ এলাকা এখন পানির নিচে। ভারী বৃষ্টি কমতে শুরু করলে মঙ্গলবার থেকে এই দুই জেলায় উন্নতি হতে পারে বন্যা পরিস্থির। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় তা দেশের কুড়িগ্রাম, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা থেকে প্রবেশে করে আরো এগিয়ে আসছে।

এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জিতে আরও ৫৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার ৯৭২ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা ১২২ বছরের মধ্যে রেকর্ড। সব মিলে গত তিন দিনে এখানে প্রায় আড়াই হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর এসব এলাকার বৃষ্টির পানি বাংলাদেশের সিলেট ও কুড়িগ্রাম দিয়ে নেমে আসবে। যার ফলে এখন পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির আশা দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা।