আগামী ২১ জুন বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ; বিজ্ঞানীরা বলছেন ঐ দিনই ধ্বংস হতে চলেছে পৃথিবী !!

আগামী ২১ জুন বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ; বিজ্ঞানীরা বলছেন ঐ দিনই ধ্বংস হতে চলেছে পৃথিবী !! প্রতিকী-ছবি

সুপ্রভাত বগুড়া (জ্ঞান-বিজ্ঞান): ২০২০ সালটি শুরু থেকেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। এখন একটি তত্ত্ব দাবি করছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পৃথিবী শেষ হয়ে যাবে। এই অদ্ভুত ধারণাটি একটি প্রাচীন ক্যালেন্ডার মায়ার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

তবে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার সারা বিশ্বে ব্যবহৃত হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারটি ১৫৮২ সালে প্রথম অস্তিত্ব নিয়ে আসে। আগে বিভিন্ন ধরনের ক্যালেন্ডার ব্যবহৃত হতো। এই তালিকায় মায়া ক্যালেন্ডার এবং জুলিয়ান ক্যালেন্ডারও রয়েছে।

Pop Ads

বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর ঘোরার সময়কে আরো ভালোভাবে প্রতিফলিত করে। জুলিয়ান ক্যালেন্ডার এই কক্ষপথটি সঠিকভাবে প্রতিফলিত করে না, তাই প্রতি বছর ১১ দিন কমতে থাকে।

ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনুসারে, আমরা যদি প্রতি বছর এই ১১ দিন হ্রাসের গণনা করি তবে বাস্তবে আমাদের ২০২০ নয়, ২০১২ সাল হওয়া উচিত। ২০১২ সাল শুরুর আগে অনেক বিশেষজ্ঞ বিশ্বের সমাপ্তির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।

সম্প্রতি বিজ্ঞানী পাওলো তাগালগায়ুনও এটি সম্পর্কে টুইট করেছেন, যা মুছে ফেলা হয়েছে। এই টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে বিশ্ব প্রযুক্তিগতভাবে ২০১২ সালে বাস করছে।

গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে স্থানান্তরিত হওয়ার কারণে, প্রতি বছর প্রায় ১১ দিন হ্রাস হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের ২৬৮ বছরের (১৭৫২-২০২০) প্রতি বছর ১১ দিন হ্রাস হয়। এই ১১ দিনগুলোকে ২৬৮ দিয়ে গুণ করলে, দিনগুলোর সংখ্যা ২,৯৪৮ দিন হয়ে যায়।

ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনুসারে, বিশ্ব সমাপ্ত হওয়ার সঠিক তারিখ ২১ জুন ২০২০। এখন যদি আমরা বছরের ৩৬৫ দিন দ্বারা মোট দিনের সংখ্যাকে বিভক্ত করি তবে ফলাফল আসবে ৮ বছর। অর্থাৎ, আমরা আসলে ২০১২ সালের জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে বাস করছি এবং এই তত্ত্বের স্রষ্টা এই বছরটিকে বিশ্বের শেষ হিসেবে দেখছেন।

এ সম্পর্কে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলেছে, সুমেরীয়রা নিবিরু নামের একটি গ্রহ আবিষ্কারের পরে এই গল্পটি শুরু হয়েছিল। ভবিষ্যদ্বাণী প্রণেতারা ২০০৩ সালের মে মাসে পৃথিবীতে আশ্চর্য কিছু ঘটার কথা বলেছিলেন।

২০০৩ সালের মে মাসে এই ভবিষ্যদ্বাণীটির কোনো প্রভাব না পড়ায় ২০১২ সালের ডিসেম্বরে পৃথিবীর ধ্বংসের কথা বলা হয়েছিল, যা মায়া ক্যালেন্ডারের জীবনচক্রের উপর ভিত্তি করে ছিল। সূত্র: কলকাতাটাইমস, আল-আরাবিয়া।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here