‘উচ্চ আদালত বলে দিয়েছে জয় বাংলাই জাতীয় স্লোগান’ : প্রধানমন্ত্রী

‘উচ্চ আদালত বলে দিয়েছে জয় বাংলাই জাতীয় স্লোগান' : প্রধানমন্ত্রী

ভৌগলিক অবস্থানের কারণে অনেকে বাংলাদেশে পদলেহনকারী সরকার চায় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থার কারণে অনেকে চায়, এখানে এমন সরকার আসুক যারা তাদের পদলেহন করবে। বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদকে আশ্রয় দেয়া আমেরিকাকে বারবার অনুরোধ করার পরও দন্ডিত অপরাধীকে ফেরত দেয়না। এদেশের বিষয়ে মতামত দিতে তাদের কি অধিকার আছে? মনে রাখতে হবে হবে তারা যাদের বন্ধু তাদের আর শত্রুর দরকার নেই। ইউক্রেন এর বড় উদাহরণ।’

Pop Ads

বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘যে বিএনপির জন্মই হয়েছে হত্যা ক্যু করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে, তাদের মুখে আজ গনতন্ত্রের কথা শুনতে হয়। এদের মুখে গনতন্ত্রের কথা মানায় না।’

এ সময় পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) যেসব বিদেশি প্রভুরা এখন তাদের জন্য কথা বলছে, বিএনপির আমলের নির্বাচনগুলোর সময় তারা কোথায় ছিলেন? ভোটাধিকারের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে তা এদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছে আওয়ামী লীগ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভোট কারচুপি এ দেশে শুরু করেছিলেন জিয়া। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে হ্যা-না ভোটের মাধ্যমে তিনি তা করেন। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে অবৈধভাবে গঠন করা দলের নাম বিএনপি। নিজের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে শতশত সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা ও গুম করেন জিয়া।’

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে জিয়াউর রহমানের ইন্ধন ছিল বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া জড়িত ছিলেন। তার সহায়তা ছাড়া মোশতাক এ কাজ করতে পারতেন না। অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের শুধু বিচার বন্ধই করা হয়নি, বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরিও দেয়া হয়েছিল।

বিজয়ী জাতি হিসেবে যে পরিচয় আমরা পেয়েছিলাম তা ভূলুন্ঠিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে। পঁচাত্তরের ঘাতকদের পুনর্বাসিত করে ও একাত্তরের ঘাতকদের ক্ষমতায়িত করেছে যারা তারাতো মুক্তিযুদ্ধেরই বিরোধী। জিয়া রেহানার পাসপোর্টটা পর্যন্ত দেননি।’

রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে যে কবর আছে সেখানে জিয়াউর রহমানের মরদেহ নেই বলে জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘সংসদের পাশে জিয়ার কথা বলে যে কবর দেয়া হয়েছে সে কবরে জিয়ার মরদেহ যে নেই তা এরশাদই স্বীকার করে গেছেন। জিয়ার মরদেহ পাওয়া যায়নি। এরশাদ ধূর্ত ছিলেন বলেই জিয়ার কথা বলে একটি বাক্স কবর দেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘উচ্চ আদালত বলে দিয়েছে জয় বাংলাই জাতীয় স্লোগান। আর জিয়ার ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছে আদালত। কাজেই তার গঠন করা দল বিএনপিও তো অবৈধ হয়ে যায়।’ খালেদা জিয়ার জন্মদিন প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বাবার দেওয়া সাক্ষাৎকারেও ১৫ আগস্টে খালেদা জিয়ার জন্মদিনের কথা নেই।

অথচ ক্ষমতায় এসে পরিকল্পিতভাবে ১৫ই আগস্ট নিজের জন্মদিন পালন শুরু করেন। কতটুকু অমানবিক হলে এমন কাজ করা সম্ভব।’ বর্তমান সরকারের উন্নয়নের বিষয়ে দেশের সাধারণ মানুষই মত দেবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর ১৫ বছর পরের বাংলাদেশের তুলনা করে মানুষই বিবেচনা করুক।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো বলেই এতো উন্নয়ন ও পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে যাতে চলতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।’