সুপ্রভাত বগুড়া (ফ্যাশন ও রুপচর্চা): অয়েল, শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করেও অনেকের চুল উসকোখুসকো থেকে যায়।
এর প্রধান কারণ শুষ্ক ও ডিহাইড্রেটেড। আবার আবহাওয়ায় অতিরিক্ত আর্দ্রতাও চুল ফ্রিজি করে তুলতে পারে।
নিত্যদিনের এই সমস্যা সামলানো নিয়ে চিন্তায় আছেন? তবে কিছু উপায় রয়েছে, তা কাজে লাগাতে পারলে চুল থাকবে স্বাভাবিক। এবার তা জেনে নিন…
ডিম ও অলিভ অয়েল:
এক টেবলচামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে একটা গোটা ডিম ভালো করে ফেটিয়ে নিন। স্ক্যাল্প ও চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন।
৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন। কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না। এই হেয়ার প্যাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, প্রোটিন এবং লাইজোজাইম নামের একটি এনজাইম রয়েছে, যা স্ক্যাল্প ব্যাক্টেরিয়া নিয়ন্ত্রণে আনে।
যার কারণে চুলের ফ্রিজি ভাব কমে গিয়ে স্বাভাবিক থাকে।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:
অ্যাসেটিক সিডার চুলের জন্য খুবই উপকারী। শ্যাম্পুর পর চুল ভালো করে ধুয়ে সারা চুলে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার লাগিয়ে নিন।
১ মিনিট মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন। শেষে কন্ডিশনার লাগিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এতে কোমলতা ফিরে আসবে চুলে।
কলা:
কন্ডিশনার হিসেবে কলার জুড়ি নেই। একটা পাকা কলা ভালো করে পেস্ট করে নিন।
তাতে ২ চা চামচ মধু এবং আধা চামচ নারিকেল তেল বা বাদাম তেল মেশান।
সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে স্ক্যাল্প ও চুলে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন হাতেনাতে।
লেবু ও মধু:
লেবুতে ভিটামিন সি রয়েছে যা চুলের গ্রোথ বাড়াতে সাহায্য করে এবং মধু প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের কাজ করে।
এক কাপ পানির সঙ্গে ২ টেবিলচামচ মধুর এবং ২ টেবিলচামচ লেবুর রস মেশান। গোসলের পর গোটা চুলে এই মিশ্রণ লাগিয়ে নিন।
এভাবে ১০ মিনিট রাখার পর শ্যাম্পু করুন। চুল হবে মোলায়েম।
আমন্ড অয়েল ও ডিম:
বাদাম তেল (আমন্ড অয়েল) আপনার চুল কন্ডিশন করে এবং ডিম চুলের ক্ষতি মেরামত করে।
ডিম ও বাদাম তেল ভালো করে ফেটিয়ে স্মুদ পেস্ট বানিয়ে নিন। তা ভালো করে স্ক্যাল্প ও চুলে লাগিয়ে নিন। এভাবে ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন।
সবশেষে কন্ডিশনার লাগাবেন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলে চুল নিয়ে দুশ্চিন্তা আর থাকবে না।