করোনার পুন:সংক্রমণ ভাবিয়ে তুলেছে গবেষকদের !

সুপ্রভাত বগুড়া (আন্তর্জাতিক): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (সিডিসি) জানায় যে করোনাভাইরাসের পুন:সংক্রমণের কোনও ঘটনা তাদের জানা নেই। তবে তারা এটা বিশ্বাস করে যে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে নোভেল করোনাভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার পরও যদি করোনা পরীক্ষা করা হয় তাহলে হয়তো রিপোর্ট পজিটিভ আসতে পারে। এখন সেটার কারণ যে দ্বিতীয়বারের জন্য সেই ব্যক্তিকে আক্রমণ করেছে করোনা এমনটা মানতে নারাজ সিডিসির বিজ্ঞানীরা।

বরং তাদের দাবি কোনও ব্যক্তি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠলেও তার দেহে এই ভাইরাস খুব কম শক্তিশালী হলেও তিন মাস থেকে যাচ্ছে। এমনকী তিন মাসের মধ্যে যখন ফের একবার তার পরীক্ষা হচ্ছে তখন ধরাও পড়ছে। কিন্তু এটা কিন্তু নতুনভাবে আক্রান্ত হচ্ছে তা নয়। কিন্তু সম্প্রতি এটা নিশ্চিত হয়েছে যে একবার করোনা আক্রান্ত হলেও দ্বিতীয়বার সেই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হতে পারে। করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেই যে আর কোভিড-১৯ ভাইরাস আক্রমণ করবে না এমনটা নয়। অন্তত সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি ঘটনা তা বলছে না।

Pop Ads

৩৩ বছর বয়সি এক চিন নাগরিক একবার আক্রান্তের সাড়ে চার মাস বাদে আবারও আক্রান্ত হয়েছেন। জানা গিয়েছে তিনি ‘সুস্থ’ হয়ে ওঠার পর স্পেন ভ্রমণে গিয়েছিলেন। এমনকী বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ড থেকেও করোনার পুন:সংক্রমণ বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে গত সপ্তাহে মার্কিন মুলুকেও প্রথম কোভিড ভাইরাসের পুন:সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এর থেকে এটা স্পষ্ট যে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি দুর্বল হয় সেক্ষেত্রে ফের দেহে আক্রমণ চালাতে পারে করোনা।

কোভিড ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠছে তা যে অনির্দিষ্টকালের জন্য নয় এটা কার্যত স্পষ্ট।সম্প্রতি হংকংয়ের গবেষকরা যে তথ্য সামনে এনেছেন সেখানে দেখা গিয়েছে করোনার দু’রকমের জিনোম। অর্থাৎ একই ভাইরাস থেকে যে দ্বিতীয়বার আক্রমণ হয়নি তা কিছুটা স্পষ্ট। পরবর্তী যখন জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে দেখা হল তখন দুই রকমের ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেল।

যেহেতু চিনা ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ওঠার পর স্পেনে গিয়েছিলেন বিজ্ঞানীদের মত তিনি সেখান থেকে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হন। এমনকী মার্কিন মুকুলেও যে ঘটনা দেখা গিয়েছে সেখানেও করোনার ভিন্ন ভিন্ন জিনোম কাঠামো। কোভিড ভাইরাসের এই পুন:সংক্রমণ অবাক করছে না বিজ্ঞানীদের। অনেকে এও বিশ্বাস করেন যে এর আগেও অনেকের দ্বিতীয়বারের জন্য সংক্রমণ হয়েছে। তবে এটা ঠিক সকলের ক্ষেত্রেই যে পুন:সংক্রমণ হবেই এমন কোনও কথা নেই। আর দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে তা মারাত্মক কিছু তেমনটাও নয়। সূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here