কারিগরি বোর্ডের ওএসডি চেয়ারম্যান ডিবির নজরদারিতে

5
কারিগরি বোর্ডের ওএসডি চেয়ারম্যান ডিবির নজরদারিতে

 

কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবরকে নজরদারিতে রাখার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার সঙ্গে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককেও নজরে রাখা হবে। এদিকে সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Pop Ads

কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের হাজার-হাজার সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় সম্প্রতি ওএসডি করা হয় বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবরকে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার তার স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠায় আদালত।

সনদ জালিয়াতির অভিযোগে গত ১ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সংশ্লিষ্ট অনেক কর্মকর্তা ও কয়েকটি স্কুল ও কলেজের প্রধান আর অধ্যক্ষদের নাম উঠে আসে। এ নিয়ে জিজ্ঞাবাদের জন্য মঙ্গলবার সাবেক চেয়ারম্যানকে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়।

কারিগরি বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগকারিগরি বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
পুলিশের দাবি, চেয়ারম্যান-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক-সচিব-শিক্ষক-কর্মচারীদের যোগসাজসে দুর্নীতির আখড়া হয়েছে বোর্ড। সিস্টেম অ্যানালিস্ট পদের শামসুজ্জামানের আগের জনও একাজে জড়িত ছিলেন।

ডিবির ডিআইজি হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে, আমি এই প্রতিষ্ঠানের রক্ষক। আমি এই প্রতিষ্ঠানের লিডার। আমি এই প্রতিষ্ঠানটা চালাই। আর এখানে আমার সিস্টেম অ্যানালিস্ট, আমার আন্ডারে কাজ করে যে আমার কাছ থেকে গোপন পাসওয়ার্ড নিয়ে আপলোড করে। সে সেখানে নকল সার্টিফিকেট আপলোড করে লাখ লাখ টাকা আয় করছে, আর আমি এটা জানি না। আমরা জানতে চেয়েছি, আপনার ওয়াইফ এটার সাথে জড়িত কেন? তিনি বললেন, আমি জানিনা আমার ওয়াইফ টাকা নিয়েছে।’

ওএসডি হওয়া চেয়ারম্যান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে দায়িত্বে অবহেলার কথা স্বীকার করেন তিনি।

আলী আকবর বলেন, ‘মিডিয়াতে যেটা শুনেছে ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার। কিন্তু আমাদের কাছে এ রকম কোনো তথ্য নেই। আমি তার (স্ত্রী) বিষয়ে কিছুই জানি না। গোয়েন্দা সংস্থা কি তথ্য পেয়েছে আমি জানি না। যেহতু আমি বোর্ডের প্রধান, আমি দায় এড়াতে পারি না।’

আলী আকবর আরো দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা ঘুষের বিষয়টি ভিত্তিহীন, এর তদন্ত চলছে।