জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলো কুড়ে ঘরের ফারজিনা

92
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলো কুড়ে ঘরের ফারজিনা

হাওড় পাড়ের মানুষের সংগ্রামী জীবন কাহিনী নিয়ে নির্মিত ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ সিনেমায় সাবলীলভাবে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছে ফারজিনা আক্তার। সে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ছিলাইন তাহিরপুর গ্রামের কুড়ে ঘরের আবু সায়েমের মেয়ে।

সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী, ছিলাইন তাহিরপুর গ্রামের এলেম নূর বলেন, ফারজিনা আক্তার ছিলাইন তাহিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। সে খুব গরিব ঘরের মেয়ে। তাদের কোনো বসত বাড়ি নেই। তার বাবা কৃষি কাজ করে সংসার চালান। মা একজন গৃহিণী। বাড়ি নেই, ঘর নেই জমি জমাও নেই। বিরাট অসহায় পরিবার। নানা শাহপরানের বাড়িতে একটি কুড়ে ঘরে বাস করে।

Pop Ads

এদিকে জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফারজিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি পোস্ট করেছেন। তিনি ফারজিনার ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘দুর্দান্ত একটি ঘটনা ঘটে গেছে!
দেহমন আলোড়িত করে দেয়ার মতো একটা ঘটনা! ছবির এই মেয়েটির নাম – ফারজিনা। সুনামগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত উপজেলা তাহিরপুরের হাওরপাড়ে তার বাড়ি। দরিদ্র বাবার সন্তান ফারজিনাদের থাকার নিজের ঘরও নেই। ফারজিনা ঢাকায় এসেছে। ঢাকায় আসার মতো ভালো জামা-জুতা নেই তার। সস্তা একজুড়া স্যান্ডেল আর স্থানীয় বাজার থেকে বাবার কিনে দেয়া একটা জামা গায়েই ঢাকায় এসেছে সে।

এই সাধারণ জামা-জুতা পরেই ফারজিনা দাড়াবে আলো ঝলমলে মঞ্চে দেশের নামকরা সব মানুষের সাথে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে গ্রহণ করবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার!
অভিনন্দন ফারজিনা!’

চলচ্চিত্র পরিচালক ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ছবিতে হাওড়বাসীর জীবন ও প্রকৃতি নিয়ে গল্পের কাহিনী এগিয়ে যায়। একমুঠো ধান, তিন বেলা পেটপুরে খাবারের জন্য গোটা হাওড়াঞ্চলে মানুষ কীভাবে প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকেন তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ সিনেমায়। সিনেমাটির পুরো গল্প জুড়ে রয়েছে ছোট একটা গ্রামের দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের জীবন সংগ্রমের কাহিনী। বন্যায় বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে যাওয়ার কষ্ট কথা। হাওড়বাসী একমাত্র বোরো ফসল ঘরে তোলার জন্য যে প্রাণান্তকর চেষ্টা করেন সেই চিত্র।