গ্রামবাসী ও ক্ষেতলাল ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ২ ঘন্টার পরিশ্রমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন হোপ গ্রামের মো. আতিকুল ইসলাম ও মো. জালাল উদ্দিন। প্রতিদিন রাত হলেই এভাবে খড়ের গাদায় আগুন আতংকে গ্রামবাসী। আগুনের সূত্রপাত এখনো জানা যায়নি তবে এলাবাসী মনে করছেন একটি চক্র পরিকল্পিত ভাবে খড়ের গাদায় আগুন দিচ্ছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ মো. আতিকুল ইসলাম বলেন সন্ধ্যা পর্যন্ত আমার ক্ষেতের সরিষা কর্মী দ্বারা গাদা করে রাখি জাগ দিতে এরপর কর্মীরা বাসায় চলে গেলে আমি আমার ছোট বাচ্চাকে বাসায় পড়াচ্ছিলাম। আমার পাশের বাড়ির লোকজন আমাকে ডাকাডাকি করছে যে আমার খড়ের গাদা আগুন লেগেছে। প্রতিবেশিরা ছুটে আসে আগুন নেভাতে তারপর ৯৯৯ এ কল করে ফায়ার সার্ভিসে কল করি কিছুক্ষণের মধ্যে তারা আমাদের এখানে আসেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততোক্ষনে আগুনে আমার ১৪ বিঘা জমির খড়ের গাদার প্রায় অর্ধেক পুড়ে ছাই হয়। এসব খড় গবাদী পশুর একমাত্র সংগ্রহ করা খাদ্য। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বাড়িতে গরুর খামার রয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মো. ফারুক হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে তদারকি করা হবে। আমাদের খড়ের গাদায় আগুন কেউ দিচ্ছে কিনা? যদি কেউ পরিকল্পিতভাবে এসব নোংড়া কাজ করে থাকে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সুপ্রভাত বগুড়া/ এম রাসেল আহমেদ