ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চাই : মোস্তফা জব্বার

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চাই: মন্ত্রী

যারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে নানা রকম হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। মন্ত্রী বলেছেন, যারা যারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হয়েছেন। আপনাদের কাছে আমি ক্ষমা চাই। তবে আমার ছোটখাটো বক্তব্য হচ্ছে এই, আমি যে ঘটনাগুলো শুনছি, সে ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে দোষটা বোধহয় আইনের থেকে বহুগুণে বেশি আইন প্রয়োগকারী এবং বিচার ব্যবস্থার মধ্যে।

কারণ আমি এখানে যা দেখলাম, শুনলাম তাতে এই বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সব থেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। শনিবার (১১ জুন) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভুক্তভোগী ও প্রকৃত অপরাধী’ শিরোনামে ভুক্তভোগীদের সম্মেলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।

Pop Ads

আইনটি তৈরির আগে আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নেয়া হয়েছিল। সেখানে সাংবাদিকদের একটু ক্ষোভ ছিল। কিন্তু সেটাকে অযৌক্তিক দাবি করে মন্ত্রী বলেন, আইনটি সংসদে যাওয়ার পরে পুলিশেরা একটি বিষয়ে আমাকে বললেন। স্যার, কোথাও যখন ঘটনা ঘটবে, আমরা আদালতে গিয়ে গ্রেপ্তারের পরোয়ানা নিয়ে এসে তারপরে যদি আসামিদের ধরতে যাই তাহলে তো ঘটনা ঘটে শেষ হয়ে যাবে।

তখন আমরা কী করব? এমন পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে একটি সংশোধনী এসেছিল, সেই সংশোধনী আমি গ্রহণ করেছিলাম প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে। যে, এটি পরিস্থিতি বুঝে সাব ইন্সপেক্টরের ওপরে যারা পুলিশ কর্মকর্তা আছেন, তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। নারী ও শিশু নিরাপত্তা আইন, নারী এবং শিশুদের নিরাপত্তার জন্য করা হলেও, এটির সবচেয়ে বেশি অপপ্রয়োগ করা হয়েছে।

তেমনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেরও অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ রাজনৈতিক কারণে করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন মোস্তাফা জব্বার। প্রয়োজনে এই আইনে পরিবর্তন আনা হবে ইঙ্গিত দিয়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘আইন কোনো চিরস্থায়ী দলিল নয়। সংবিধান পর্যন্ত যদি আমরা পরিবর্তন করতে পারি, আইন পরিবর্তন করা কোনো বিষয় না।

আইন যদি পরিবর্তন করার দরকার হয়, তাহলে পর্যালোচনা ও অন্যান্য যে বিষয়গুলো করার দরকার আছে, যেতে পারে।অনুষ্ঠানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার এবং নির্যাতন এবং ভোগান্তির শিকার ভুক্তভোগীদের পরিত্রাণের বিষয়ে কথা বলেন বেশ কয়েকজন আলোচক।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন-একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্যারিস্টার তাপস পাল, অ্যাডভোকেট নাসির মিয়া, কাজল দেবনাথ, এ্যারোমা দত্ত এবং সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।