ভয়াবহতা বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

ভয়াবহতা বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফাইল-ছবি

সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): করোনার ভয়াবহতা বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা লকডাউনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সরকার করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে উচ্চহারে সংক্রমিত এলাকাগুলোতে লকডাউনের পাশাপাশি কারও যেন খাবারের অভাব না হয় সে জন্য অর্থনীতির চাকাকেও সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে।

আজ রোববার জাতীয় সংসদের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস–আতঙ্ক এখন এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে যেটা খুব দুঃখজনক। তবু আমরা ঠিক করেছি, কোনো কোনো এলাকায় বেশি (করোনার সংক্রমণ) দেখা যাচ্ছে, সেটা লকডাউন করা।

Pop Ads

আমরা সেটা আটকাচ্ছি যাতে সেখান থেকে আর কোনোভাবে সংক্রমিত না হয়। তিনি আরো বলেন, সাথে সাথে আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলো যেন সচল থাকে সেদিকেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি এবং আমরা একটা বাজেটও দিতে সক্ষম হয়েছি।

করোনা পরিস্থিতিতে স্থবির বিশ্ব, তবু জীবনযাত্রা সচল রাখতে সরকারের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রয়াত সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় শোক প্রস্তাব।

চলমান বাজেট অধিবেশনের নিয়মিত আলোচনার বাইরে রোববার তাঁদের স্মরণ করেন শোকার্ত নেতারা। আওয়ামী লীগের প্রয়াত দুই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একই দিনে দুজনের মৃত্যু শোকের, এই ধাক্কা সামলাতে সময় লাগবে।

তিনি বলেন, এই মৃত্যু দেশ ও দলের জন্য বড় ক্ষতি। করোনার অস্বাভাবিক পরিবেশে হারানো প্রিয়জনের কাছে না যেতে পেরে দুঃখ প্রকাশও করেন সংসদ নেতা। শোক-বিহ্বল সহযোদ্ধারা স্মরণ করলেন দুই নেতার কর্মময় জীবন। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুলে ধরেন, দল ও দেশের প্রতি তাঁদের আত্মত্যাগ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভূমিকার কথা।

বক্তব্যের একপর্যায়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন সরকার প্রধান। প্রিয়জনের মৃত্যুতে আনুষ্ঠানিকতায়ও করোনার বাধা উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। সংসদ নেতার বক্তব্য শেষে প্রয়াত নেতাদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করা হয় সংসদে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here