নির্বাচনের ‘লেজিটিমেসি’ নিয়ে মাথা ঘামাবে না ইসি:: সিইসি

114
নির্বাচনের ‘লেজিটিমেসি’ নিয়ে মাথা ঘামাবে না ইসি:: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের লিগ্যালিটি (আইনগত দিক) দেখবে, নির্বাচনের লেজিটিমেসি (বৈধতা/ন্যায্যতা) নিয়ে মাথা ঘামাবে না। কে নির্বাচনে এল, কে এল না, সেটা নিয়েও ইসি মাথা ঘামাবে না, ব্যাপকসংখ্যক ভোটার যদি ভোট দেন, তাহলে সেটাকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা যাবে বলে তিনি মনে করেন।

আজ বুধবার নির্বাচন ভবনে ‘অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় সমাপনী বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।

Pop Ads

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘কেউ শব্দটা ব্যবহার করছেন পারটিসিপেটরি, কেউ ব্যবহার করছেন ইনক্লুসিভ। পারটিসিপেটরি ও ইনক্লুসিভের অর্থ নিয়ে আমি কনফিউশনে পড়েছি।

পারটিসিপেটরি বলতে আমি যেটা বুঝেছি, ব্যাপক ভোটার যদি এসে ভোটদান করেন, তাহলে কে এল কে এল না, আমরা সেটা নিয়ে মাথা ঘামাব না। আমার জেনুইন টার্নআউট হয়েছে ৭০ শতাংশ।’

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘তারপর যদি কনটেস্টেড হয়, তাহলে কনটেস্টের ক্ষেত্রে আমাদের অল্প কিছু রেফারির ভূমিকা থাকবে। কনটেস্টটা হবে পার্টিদের মধ্যে। ওরা ওদের অবস্থান সুদৃঢ় রাখবে। সে ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বাস করি, ইফেকটিভ কনটেস্ট হলে ভোটকেন্দ্রের ভেতর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভারসাম্যের সৃষ্টি হয়ে যায়। আমাদের দায়িত্বটা সে ক্ষেত্রে অনেকটা কমে আসে।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব নয় কাউকে নির্বাচনে নিয়ে আসা। তবু আমরা নৈতিকতার অবস্থান থেকে অনেকবার দাওয়াত দিয়েছি। আসুন, আমাদের সঙ্গে চা খান। ডিইও লেটার পর্যন্ত লিখেছি। এর বেশি আমরা করতে পারছি না।’

সিইসি বলেন, ‘আমাদের যদি ১ শতাংশ ভোট পড়ে এবং ৯৯ শতাংশ না পড়ে, আইনগতভাবে নির্বাচন সঠিক হবে। লেজিটিমেসির ব্যাপারটা ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু আইনত নির্বাচন সঠিক হবে। আমরা লেজিটিমেসি নিয়ে মাথা ঘামাব না। আমরা দেখব ভোটটা অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এক শতাংশও যদি ভোট পড়ে এবং ভোটার যাঁরা আসছেন, তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়নি, তাঁদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা নির্বিঘ্ন ও স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।’

সংলাপের প্রশ্নে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সবাই বলে থাকেন সংলাপের মাধ্যমে একটা সমঝোতার প্রয়োজনীয়তার কথা। আমরাও বলেছি, সংলাপের মাধ্যমে সমাঝোতা করে যদি একটি অনুকূল পরিবেশ গড়ে উঠত, তাহলে আমাদের জন্য কাজটা সহজসাধ্য হতো।’

বাংলাদেশের নির্বাচন প্রশ্নে বিদেশিদের অবস্থান প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা মানি বা না মানি, বিদেশের কিছু লোক এখানে এসে কথা বলেন। অথচ আমরা আমেরিকায় গিয়ে কিন্তু কথা বলতে পারছি না।

এটার একটা কারণ হতে পারে যে আমেরিকা হয়তো শক্তিতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। এটা হতেও পারে। আবার না–ও হতে পারে। আমি সেটা জানি না। ওরা আসছে আমাদের দেশে কথা বলতে।’