রাজ কী কষ্ট করেছে, তা আমি দেখেছি, রাজও দেখেছে আমি কী কষ্ট করেছি: বুবলী

101
রাজ কী কষ্ট করেছে, তা আমি দেখেছি, রাজও দেখেছে আমি কী কষ্ট করেছি: বুবলী

‘পরাণ’, ‘হাওয়া’, ‘দামাল’ ছবির পর শরীফুল রাজকে নিয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ আশাবাদী হয়ে ওঠেন। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে সবার সেই ভরসা হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। সিনেমাগুলো মুক্তির বছরখানেক পেরিয়ে গেলেও ব্যক্তিজীবনের ঘটনায় টালমাটাল হয়ে পড়েন তিনি। অন্যদিকে চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীও ব্যক্তিজীবনে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই যাচ্ছিলেন। দুই অভিনয়শিল্পী তাঁদের ব্যক্তিজীবনের টানাপোড়েন পাশ কাটিয়ে এ বছরের মার্চে একত্র হয়েছিলেন মিশুক মনির ‘দেয়ালের দেশ’ ছবিতে। এ বছরই ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে, এমনটাই জানিয়েছেন ছবি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সম্প্রতি রাজধানীর হাতিরঝিলের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘দেয়ালের দেশ’ ছবির ফার্স্টলুক প্রকাশ করা হয়, যাতে করুণ এক প্রেক্ষাপট ফুটে উঠেছে। হিমঘরে শবনম বুবলীর লাশ, তাঁর দিকে তাকিয়ে হতভম্ব হয়ে বসে আছেন শরীফুল রাজ।

Pop Ads

ছবির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে শবনম বুবলী জানান, সার্বিকভাবে কাজের অভিজ্ঞতা খুব ভালো। এই ছবিতে তাঁকে যেভাবে দেখা যাবে, এ রকমভাবে আগে কেউ দেখেননি। অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রস্তুতি নিতে অনেক কষ্ট হয়েছে।

বুবলী বলেন, ‘আমরা যখন জানি, ছবিতে সহশিল্পী কে, তখন গল্প পড়ার অনেক ক্ষেত্রে ভাবতে সহজ হয়। এই ছবির ক্ষেত্রে যেহেতু পরিচালক মিশুক ভাই আগেই বলে দিয়েছিলেন, প্রতিটা লাইন পড়ছিলাম, তখন রাজকেই দেখছিলাম। রাজের সঙ্গে প্রথম কাজ। তাকে আমি খুব পরিশ্রমী সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছি। এমনও হয়েছে, শুটিং সেটে অনেক ভিড়, আমি ওকে কোনোভাবেই খুঁজে পাচ্ছি না। কারণ, সেটে একদম সাধারণ মানুষ হয়ে মিশে আছে। অনেক ডেডিকেশন নিয়ে কাজ করছে। এটা আমাদের সবার জন্য ভালো, এমন একজন শিল্পী পেয়েছি, যিনি চরিত্র নিয়ে অনেক চিন্তা করেন।’

শবনম বুবলী বলেন, ‘ছবিতে আমাদের দুজনের কাজটা আসলে অনেক বেশি। আমাদের দুজনের কেমিস্ট্রি সেভাবেই বিল্ডআপ করা হয়েছে। প্রতিটা দৃশ্যে আমাদের দুজনের সংযোগটা জরুরি ছিল। রাজ আমাকে হেল্প করছিল, এটা আমার জন্য ভালো লাগার। এ রকম কো–আর্টিস্ট পাওয়া যায়, যার সঙ্গে কাজ করে সহযোগিতা পাওয়া যায়—যা আমাদের সিনেমার জন্য ইতিবাচক।’

‘দেয়ালের দেশ’ চলচ্চিত্রের দৃশ্যে শরিফুল রাজ ও শবনম বুবলী
‘দেয়ালের দেশ’ চলচ্চিত্রের দৃশ্যে শরিফুল রাজ ও শবনম বুবলীছবি : সংগৃহীত
একপর্যায়ে শবনম বুবলী বলেন, ‘সিনেমার লোকেশনে যখন শুটিং করছিলাম, তখন দেখেছি, রাজ কীভাবে সারভাইব করছে। কী কষ্ট করছে। রাজও দেখেছে, আমি কী কষ্ট করেছি।’

চিত্রনায়ক শরীফুল রাজ বিনোদন অঙ্গনে কাজের শুরুটা করেছিলেন র‌্যাম্প মডেলিং দিয়ে। এরপর নাটক ও চলচ্চিত্র হয়ে এখন ওয়েব সিরিজেও কাজ করছেন। রাজের প্রথম চলচ্চিত্র ‘আইসক্রিম’, এই ছবিতে তাঁর সহশিল্পী নাজিফা তুষি। অন্যদিকে শবনম বুবলী চলচ্চিত্রে কাজ শুরুর আগে বেশ কিছুদিন তৎকালীন জিএমজি এয়ারলাইনসে কেবিন ক্রু হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর সংবাদপাঠিকা হিসেবে কিছুদিন কাজ করে চলচ্চিত্রে নাম লেখান। তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র শাকিব খানের বিপরীতে, ‘বসগিরি’।রাজ কী কষ্ট করেছে, তা আমি দেখেছি, রাজও দেখেছে আমি কী কষ্ট করেছি: বুবলী
‘পরাণ’, ‘হাওয়া’, ‘দামাল’ ছবির পর শরীফুল রাজকে নিয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ আশাবাদী হয়ে ওঠেন।

কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে সবার সেই ভরসা হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। সিনেমাগুলো মুক্তির বছরখানেক পেরিয়ে গেলেও ব্যক্তিজীবনের ঘটনায় টালমাটাল হয়ে পড়েন তিনি। অন্যদিকে চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীও ব্যক্তিজীবনে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই যাচ্ছিলেন। দুই অভিনয়শিল্পী তাঁদের ব্যক্তিজীবনের টানাপোড়েন পাশ কাটিয়ে এ বছরের মার্চে একত্র হয়েছিলেন মিশুক মনির ‘দেয়ালের দেশ’ ছবিতে। এ বছরই ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে, এমনটাই জানিয়েছেন ছবি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সম্প্রতি রাজধানীর হাতিরঝিলের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘দেয়ালের দেশ’ ছবির ফার্স্টলুক প্রকাশ করা হয়, যাতে করুণ এক প্রেক্ষাপট ফুটে উঠেছে। হিমঘরে শবনম বুবলীর লাশ, তাঁর দিকে তাকিয়ে হতভম্ব হয়ে বসে আছেন শরীফুল রাজ।

ছবির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে শবনম বুবলী জানান, সার্বিকভাবে কাজের অভিজ্ঞতা খুব ভালো। এই ছবিতে তাঁকে যেভাবে দেখা যাবে, এ রকমভাবে আগে কেউ দেখেননি। অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রস্তুতি নিতে অনেক কষ্ট হয়েছে।

বুবলী বলেন, ‘আমরা যখন জানি, ছবিতে সহশিল্পী কে, তখন গল্প পড়ার অনেক ক্ষেত্রে ভাবতে সহজ হয়। এই ছবির ক্ষেত্রে যেহেতু পরিচালক মিশুক ভাই আগেই বলে দিয়েছিলেন, প্রতিটা লাইন পড়ছিলাম, তখন রাজকেই দেখছিলাম। রাজের সঙ্গে প্রথম কাজ।

তাকে আমি খুব পরিশ্রমী সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছি। এমনও হয়েছে, শুটিং সেটে অনেক ভিড়, আমি ওকে কোনোভাবেই খুঁজে পাচ্ছি না। কারণ, সেটে একদম সাধারণ মানুষ হয়ে মিশে আছে। অনেক ডেডিকেশন নিয়ে কাজ করছে। এটা আমাদের সবার জন্য ভালো, এমন একজন শিল্পী পেয়েছি, যিনি চরিত্র নিয়ে অনেক চিন্তা করেন।’

শবনম বুবলী বলেন, ‘ছবিতে আমাদের দুজনের কাজটা আসলে অনেক বেশি। আমাদের দুজনের কেমিস্ট্রি সেভাবেই বিল্ডআপ করা হয়েছে। প্রতিটা দৃশ্যে আমাদের দুজনের সংযোগটা জরুরি ছিল। রাজ আমাকে হেল্প করছিল, এটা আমার জন্য ভালো লাগার। এ রকম কো–আর্টিস্ট পাওয়া যায়, যার সঙ্গে কাজ করে সহযোগিতা পাওয়া যায়—যা আমাদের সিনেমার জন্য ইতিবাচক।’

একপর্যায়ে শবনম বুবলী বলেন, ‘সিনেমার লোকেশনে যখন শুটিং করছিলাম, তখন দেখেছি, রাজ কীভাবে সারভাইব করছে। কী কষ্ট করছে। রাজও দেখেছে, আমি কী কষ্ট করেছি।’

চিত্রনায়ক শরীফুল রাজ বিনোদন অঙ্গনে কাজের শুরুটা করেছিলেন র‌্যাম্প মডেলিং দিয়ে। এরপর নাটক ও চলচ্চিত্র হয়ে এখন ওয়েব সিরিজেও কাজ করছেন। রাজের প্রথম চলচ্চিত্র ‘আইসক্রিম’, এই ছবিতে তাঁর সহশিল্পী নাজিফা তুষি। অন্যদিকে শবনম বুবলী চলচ্চিত্রে কাজ শুরুর আগে বেশ কিছুদিন তৎকালীন জিএমজি এয়ারলাইনসে কেবিন ক্রু হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর সংবাদপাঠিকা হিসেবে কিছুদিন কাজ করে চলচ্চিত্রে নাম লেখান। তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র শাকিব খানের বিপরীতে, ‘বসগিরি’।