মোবাইলে কথা বলা নিয়ে কারা*গারে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আ*হত ৫

3
মোবাইলে কথা বলা নিয়ে কারা*গারে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আ*হত ৫

মোবাইলে কথা বলা নিয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতিদের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৭এপ্রিল) দুপুরে কারাগারের নিউজেল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে দুই কারারক্ষীও জখম হয়েছেন। কারা কর্তৃপক্ষের দাবি পূর্ব কোন্দলের জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে দ্রুতই তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Pop Ads
কারাগার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে অসংখ্য দর্শনার্থী দেখা করার ঘরের সামনে অপেক্ষায় ছিলেন। হঠাৎ হুইসেল বেজে ওঠে। দর্শনার্থীদের দ্রুত বাইরে বের করে দেয়া হয়। আর কারারক্ষীরা তাড়াহুড়ো করে লাঠি নিয়ে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করে।

সূত্র মতে, কারা অভ্যন্তরের নিউজেল এলাকার সামনে সন্ত্রাসী ভাইপো রাকিব ও তার প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী সম্রাটের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ সময় দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। শেষমেষ তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়। পরবর্তীতে হুইসেল বাজিয়ে কারারক্ষীরা ভেতরে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে দুই কারারক্ষী জখম হয়েছেন। আহতদেরকে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খুলনা বিভাগীয় কারা উপমহাপরিদর্শক অসীম কান্ত পাল। কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় জড়িত সাত-আটজনকে চিহ্নিত করেছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে পৃথক স্থানে রাখা হয়েছে। অন্যদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, মূলত কারাগারে মোবাইল ফোনে কথা বলা নিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত‌ হয়। অনৈতিক উপায়ে দীর্ঘদিন ধরেই কারা অভ্যন্তরে থেকে মোবাইল ফোনে বাইরে যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে।

এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘দুই কারারক্ষী ও ৫-৬ জন হাজতিকে কারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা আশঙ্কামুক্ত ও সুস্থ রয়েছেন।’

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বলেন, ‘ঘটনাটি সামান্য। তবে, আকস্মিকভাবে তাদের একজন কারারক্ষী অ্যালার্ট হুইসেল বাজিয়ে ফেলেন। এতে করে বিষয়টি বড় আকারে রূপ নেয়।’

‘মূলত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে শহরের দাগী কয়েকজন সন্ত্রাসী রয়েছে। তাদের মধ্যে ভাইপো রাকিব অন্যতম। এদের দুটি গ্রুপের সদস্যদের বাইরেই কোন্দল ছিল। কারাগারের ভেতরে সে ক্ষোভ মেটানোর চেষ্টা করেছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কারারক্ষীদের ওপর হামলা চালানো হয়নি। মূলত তাড়াহুড়ো করে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা।’