পাঁচ টাকার চিপসের প্যাকেটে মিলছে ‘হাজার টাকার’ নোট!

76
পাঁচ টাকার চিপসের প্যাকেটে মিলছে ‘হাজার টাকার’ নোট!

মাত্র পাঁচ টাকার চিপসের প্যাকেটে উপহার হিসেবে মিলছে ৫০০ ও হাজার টাকার নকল নোট। পলিথিনের প্যাকেটে চিপসের সঙ্গে চকচকে নোটগুলো দেখে বোঝারই উপায় নেই এটি আসল নাকি নকল। শুধু টাকার গায়ে লেখা রয়েছে খেলনা টাকার নমুনা।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইলের সখীপুরে গ্রামাঞ্চলের দোকানগুলোতে এসব চিপস বিক্রি হতে দেখা যায়।

স্থানীয়দের আশঙ্কা, ওই চিপসের প্যাকেটে নেই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণের কোনো তারিখ। বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন নিম্নমানের এসব চিপস এভাবেই টাঙ্গাইলের সখীপুরে ছড়িয়ে পড়েছে। কোমলমতি শিশুদের কাছে এটি খেলনা হলেও অনেকের কাছে প্রতারণার নয়া হাতিয়ার হতে পারে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয়রা।

Pop Ads

জানা যায়, উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশের মুদি দোকান ও চায়ের স্টলে বিক্রি হচ্ছে এসব চিপস। চিপসের প্যাকেটে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, মেয়াদোত্তীর্ণের কোনো তারিখ নেই। আবার এসব চিপসের প্যাকেট খুলতে প্যাকেটে থাকছে ১০০, ৫০০ ও হাজার টাকার চকচকে নোট।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকালে বিল্লাল হোসেন (২০) নামে এক যুবককে উপজেলার প্রতিমা বংকী দক্ষিণ চৌরাস্তা বাজারে এসব চিপসসহ আটক করেন স্থানীয়রা। এ সময় আটক বিল্লাল জানান, সিলেট থেকে একদল তরুণ সখীপুরে এসে ফেরি করে এসব চিপস বিক্রি করছেন। তারা ঢাকা থেকে এসব চিপস এনে সখীপুরের গ্রামাঞ্চলের দোকানগুলোতে পাইকারি বিক্রি করেন। উপজেলার বেড়বাড়ী বাজারে এ চিপস হাতে নিয়ে নবসৃষ্টি শিক্ষা পরিবারের কয়েকজন শিক্ষার্থীও বিদ্যালয়ে যায়।

ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক রিফাত শারমিন রিতা বলেন, কিছু অসাধু ব্যক্তি শিশুদের নিম্নমানের চিপস বিক্রি করতে অভিনব এ পন্থা অবলম্বন করছেন। মূলত এরা বিএসটিআই-এর অনুমোদনহীন নিম্নমানের খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করছেন। সাদা মোড়কে পাঁচ টাকার চিপসের প্যাকেট কিনলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংবলিত নমুনা ১০০০, ৫০০, ২০০, ১০০ টাকার নোট পাওয়া যাচ্ছে। এ টাকার লোভে শিশুরা পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিম্নমানের এসব চিপস কিনে খাচ্ছে।

উপজেলা বিআরডিবি ভাইস চেয়ারম্যান ও মিডিয়া কর্মী এম সাইফুল ইসলাম শাফলু বলেন, টাকার লোভে নিম্নমানের এসব চিপস কিনে খাচ্ছে শিশুরা। মানহীন এসব চিপসে বাচ্চাদের ব্যাপক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। এ ছাড়া বয়স্ক লোকদের এমন টাকা দিয়ে বিভ্রান্ত করার আশঙ্কাও রয়েছে। বৃদ্ধরা টাকার পার্থক্য বুঝতে না পারায় প্রতারিত হবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্যসচিব ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুরুল মোর্শেদ বলেন, খেলনা নোটের আকার-আকৃতি আসল নোটের সমান হলে তা অবশ্যই উদ্বিগ্নের বিষয়। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।