পুতিনের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন জো বাইডেন

পুতিনের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন জো বাইডেন

সমাধানের বদলে ক্রমেই বেড়ে চলেছে ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বিরোধ। ইউক্রেনে হামলা হলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো রুশ প্রেসিডেন্টকে টার্গেট করে সতর্কবার্তা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে রাশিয়া। ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর কঠোর বিধিনিষেধের হুমকি দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাল্টা হামলার হুমকি আসছে রাশিয়ার পক্ষ থেকে। এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার চলমান উত্তেজনাকে স্নায়ু যুদ্ধ পরবর্তীতে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে বলে মন্তব্য করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন।

Pop Ads

চলমান সঙ্কট নিরসনে বুধবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে মিলিত হচ্ছেন ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা। তার আগেই, রাশিয়ার দেয়া শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেবে কি দেবে না তা নির্ধারণে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য। এদিকে রাশিয়া ইউক্রেনের মাথায় বন্দুক তাক করে রেখেছে বলে অভিযোগ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের।

তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে ন্যাটোর অংশ হিসেবে তার দেশ তা ঠেকানোর চেষ্টা করবে। সঙ্কট ঘনীভূত হলেও, এখনো কুটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান বিরোধ নিরসনের সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাটো প্রধান। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে এবিষয়ে ক্রেমলিনের কাছে লিখিত প্রস্তাব দেয়া হবে।

এদিকে রাশিয়ার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ পরিবর্তনে মার্কিন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির শীর্ষ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। দুই পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাখোঁ।
ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখ রুশ সেনা মোতায়েন করা হলেও, অভিযানের পরিকল্পনা নেই বলছে মস্কো।

অন্যদিকে, পাল্টা জবাদিতে সাড়ে আট হাজার সেনা প্রস্তুত করলেও ইউক্রেনে মার্কিন সেনা প্রবেশ করবে না বলে সাফ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু দুই দেশের অনড় অবস্থানে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি, এমনটাই মত বিশ্লেষকদের।