ফেনী ও সোনাগাজীতে সরকারি আদেশ উপেক্ষিত, কিস্তি আদায় করছে এনআরডিএস সহ কয়েকটি এনজিও !

সুপ্রভাত বগুড়া (এমদাদ খান):  সোনাগাজীতে লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারি আদেশ উফেক্ষা করে কিস্তি আদায় করছে এনআরডিএস (নোয়াখালি রুরাল ডেবলাপমেন্ট সোসাইটি) সহ কয়েকটি এনজিও সংস্থা। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে লকডাউন ঘোষনার পর ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় না করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এনজিও সংস্থা গুলোকে নির্দেশনা দেয়া হলেও তারা এই নির্দেশনা কে পাত্তা দেয়নি। যে কয়েকটি এনজিও বেশি বাড়াবাড়ি করেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো এনআরডিএস।

সোমবার সকালে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য এনআরডিএস সোনাগাজী কার্যালয়ে গেলে উপস্থিত কর্মকর্তা কর্মচারি গণ এই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি, তবে কিস্তি আদায়ের বিষয়টি স্বিকার করে বলেন, আমরা কাউকে বাধ্য করিনি যারা স্বেচ্ছায় কিস্তি দিয়েছে তাদের থেকে কিস্তি গ্রহন করেছি। কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতিতে কিস্তি আদায়ের কেন্দ্র তথা গ্রাহেকের বাড়ী বাড়ী ছুটে চলা কতটা আইসম্মত এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তারা।

Pop Ads

এনআরডিএস (নোয়াখালি রুরাল ডেবলাপমেন্ট সোসাইটি) এর কার্য্যক্রম পর্যবেক্ষন করতে মাঠ অনুসন্ধানে দেখা যায় করুন চিত্র, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির এই অর্থনৈতিক মন্দা কালে কোন গ্রাহকের নুন্যতম সুদ মওকুপের মত উদারতা তারা দেখাতে পারেনি, উল্টো চলেবলে কৌশলে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে কিস্তি আদায় করেছে। এনআরডিএস এর অফিসিয়াল কার্য্যক্রমের ব্যাপকতা থাকলেও লকডাউনে ঘরবন্দি প্রান্তিক গ্রহকদের জন্য নুন্যতম কোন আর্থিক কিংবা খাদ্য সহায়তা করতে পারেনি, ঠিক যেন গরীবের রক্তচোষা সেই ব্রিটিশ বেনিয়া নতুন খোলসে উদয় হয়েছে।

এনআরডিএস এর একটি আদায় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় কিস্তি প্রদানের জন্য মহিলা সদস্যরা ঝড়ো হয়েছে, তাদের সাথে আলোচনা কালে এনআরডিএস থেকে কি পেয়েছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া দেখান সদস্যরা, তারা বলেন কখনো পাঁচটাকা দামের একটা মুখের মাক্স কিংবা পঞ্চাশ পয়সা দামের এটকা টিস্যুও তারা পায়নি, সদস্য ভর্তির জন্য যে ফিস তারা গ্রহন করে সেটা সংস্থার ফান্ডে চলে যায় এবং কিস্তি গ্রহনের যে বই রয়েছে সেই বইও তারা গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে থাকে।

সোনাগাজীতে বর্তমানে ২৭টি এনজিও সংস্থা কাজ করছে, এগুলো হলো ব্র্যাক, প্রশিকা, বিএলএফ, আশা, সূর্যেরহাসি নেটওয়ার্ক, এসডিআই, এনআরডিএস, গ্রামীন প্রোগ্রেস, জাগরনীেচক্র ফাউন্ডেশন, এসএসএস, অপেক, শক্তি ফাউন্ডেশন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, দিশা, বিজ, পল্লীমঙ্গল কর্মসূচি, সাগরিকা, ব্যুরো বাংলাদেশ, উদ্দীপন, রিক, পপি, সাজেদা ফাউন্ডেশন, টিএমএসএস, ইপসা, এসআরবি, অন্তর সোসাইটি, আলোকিত ইউয়ুথ সোসাইটি।

এর মধ্যে ব্যাক, প্রশিকা, আশা সহ কয়েকটি সংস্থা সরকারের নির্দেশনা মানলেও অন্যান্য সংস্থা গুলো ছিলো কিস্তি আদায়ের জন্য বেপোরোয়া। উপজেলা এনজিও ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন এর ম্যানেজার বাবু বিনয় ভূষন চৌধুরী মোবাইল ফোনে স্টারলাইন প্রতিবেদক কে জানান, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দেশের কোন এনজিও সংস্থাই তাদের সদস্যদের জন্য কোন খাদ্য সহায়তা, আর্থিক অনুদান কিংবা সুদ মওকুফ করেনি।