সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়া শাজাহানপুরের গোহাইল বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন পাকা সড়কের ভুমি দখল করে অবৈধভাবে ভবন নির্মান করছেন ওই গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে আবদুল আলীম। এতে করে ছোট ও সরু হয়ে পড়েছে সড়কটি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বিষয়টি জানার পর নির্মান কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু এ নির্দেশকে অমান্য করে গোহাইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ কোব্বাত হোসেনের নির্দেশে এ নির্মান কাজ চলছে। আজ মঙ্গলবার ২১ জুলাই সরেজমিনে গেলে এ চিত্র দেখাযায়।
গোহাইল ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, পাকা সড়কের ভুমি দখল করে ভবন নির্মান করার সংবাদ পেয়ে সেখানে যাই এবং ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আমি উপজেলা সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোঃ আশিক রানা স্যারকে জানালে তিনি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্মান কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। আমি সে আদেশ ভবনের মালিক আবদুল আলীম ও ইউপি সদস্য কোব্বাত হোসেনকে জানিয়ে দিয়েছি।
স্থানীয়রা জানান, নির্মান কাজ বন্ধ রাখার আদেশ শুনিয়ে যাওয়ার পরপরই গোহাইল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ কোব্বাত হোসেনের নির্দেশে আবারও কাজ চলছে।
স্থানীয়রা জানান, নির্মান কাজ বন্ধ রাখার আদেশ শুনিয়ে যাওয়ার পরপরই গোহাইল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ কোব্বাত হোসেনের নির্দেশে আবারও কাজ চলছে।
তারা আরও জানান, ইউপি সদস্য কোব্বাত আলী ওই ভবন নির্মানের জন্য মালিকের সাথে টাকার বিনিময়ে জোগসাজস করেছে। বিধায় মালিকের পরিবর্তে সে তার দলবল নিয়ে পেশী শক্তি দিয়ে সরকারী জমি দখল করে অবৈধভাবে সড়কের উপর ভবন নির্মান করছেন। তারা জানান, মেম্বারের দাপটে কেউ কথা বলছেনা। ফলে গুরুত্বপুর্ণ এ সড়কটি সরু হয়ে যাচ্ছে।
গোহাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু অবৈধভাবে রাস্তার উপর ভবন নির্মানের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ধরনের কাজ বন্ধ কার একান্ত প্রয়োজন। তা-না হলে এদের দুর্বৃত্তায়ন ও ভুমিদস্যুতা বৃদ্ধি পাবে। তিনি দাপুটে মেম্বার কোব্বাত আলী সম্পর্কে বলেন, সে কখনও কারো কথা শোনেনা। তার বিভিন্ন অপকর্মে মানুষ অতিষ্ট হয়ে পরেছে। এলাকার গরীবদের বিভিন্ন সরকারী ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে এর আগে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। পরে এসে ক্ষমা চেয়ে আবারও কুকর্মে লিপ্ত হয়। তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হওয়া দরকার।
এবার আবার আরেকজনকে সড়কের ভুমি দখল করে দেওয়ার জন্য গোপনে অবৈধ লেনদেনে আতাত করেছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, তাছাড়া মেম্বার কোব্বাতের এখানে স্বার্থকতা কোথায় ? যার ফলে সে দলবল নিয়ে পেশী শক্তি ব্যবহার করছে। উপজেলা ভুমি সার্ভেয়ার মোঃ জাহিদুর রহমান বলেন, সড়ক দখল করে ভবন নির্মান জানতে পেরে গোহাইল ইউনিয়ন ভুমি অফিসকে ব্যাবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে সড়ক দখল করে ভবন নির্মানের বিষয়ে শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী (ভুমি) কমিশনার মোঃ আশিক খান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পর সেখানে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নির্মান কাজ বন্ধ রাখার আদেশ দেয়া হয়েছে।
এতদাসত্বেও কোন খুটির জোড়ে ইউপি সদস্য কোব্বাত আলী সরকারি আদেশকে অমান্য করে ভবন মালিকের সাথে গোপন আতাত করে দাপটে নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন এলাকাবাসি। তারা জানিয়েছেন, জনস্বার্থ রক্ষার্থে অবিলম্বে এ নির্মান কাজ বন্ধ রাখা ও প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া একান্ত জরুরী। আর এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মোঃ কোব্বাত আলী বলেন, কারো কথায় কিছু যায় আসেনা সঠিক জায়গাতেই ভবন নির্মান চলছে। আর অফিস আদালত কোন বিষয়না। ওসব ঠিক হয়ে যাবে।