বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বো, এটাই প্রতিজ্ঞা।’ রবিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভায় অংশ নেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সারাবিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানরা শুভেচ্ছা দিয়েছেন। এটা আমাদের সম্মানের, এটাই আমাদের সার্থকতা। তবে আমাদের যাত্রা অনেক দূরের; জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে হবে। উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এটাই জাতির পিতার স্বপ্ন। তার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ব, এটাই প্রতিজ্ঞা।’ শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পাঁচ দেশের প্রধান এসেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ২৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে শুভেচ্ছাবার্তা আমরা পেয়েছি।

Pop Ads

এটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। এটাই আমাদের সার্থকতা। তিনি বলেন, সময়ের অভাবে সব বার্তা শোনাতে পারিনি। সমস্ত বার্তা রক্ষিত আছে। তৃণমূল পর্যন্ত প্রচার করতে হবে। তাদের শুভেচ্ছাবার্তা যেন জনসাধারণ জানতে পারে। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনকে এগুলো প্রচারে কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবুজ বাংলা আরো সবুজ করতে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। কোনো জলাশয় যেন অনাবাদি না থাকে। খাদ্য উদপাদন করে নিজেদের প্রস্তুতি রাখতে হবে।

করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যায় বলা যায় না। যাতে অন্তত খাদ্য সংকট না হয়। আমরা নিজের খাদ্য নিজেই জোগান নিশ্চিত করে অন্যকেও দেব।’ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ভ্যাকসিন দেওয়া অব্যাহত থাকবে। তবে কেউ যাতে মাস্ক ছাড়া বাইরে না যায়। নিরাপদ দূরত্ব মেনে বসতে হবে। সভা-সেমিনার-কর্মশালা স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে করতে হবে। যতদূর সম্ভব খোলা জায়গায় কর্মসূচি করতে হবে। ঘরের মধ্যে করলে করোনার প্রাদুর্ভাব আরো বেশি দেখা দেয়।’ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। সব অনুষ্ঠান সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। পাশাপাশি গেল বছর মানুষের পাশে যেমন দাঁড়িয়েছেন, তেমনি সামনেও মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

মানুষ যেন কষ্টে না থাকে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা যা করার করব। কিন্তু দল হিসেবে আওয়ামী লীগকেও মানুষের পাশে থাকতে হবে। যে দল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছে, তাদের ওপর অনেক দায়িত্ব। মানুষের জন্য খাদ্য বিতরণ, মাস্কসহ স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও নানা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার ৭ মার্চেন ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।

বাংলাদেশকে ভিন্ন খাতে নেওয়া হয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর নানা কর্মসূচি নিয়েছিলাম। তারপরও চক্রান্ত থামেনি। ২০০১ এ আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। এই সময়ে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নসহ নানা খাতে পিছিয়েছে বাংলাদেশ। গত এক যুগ আওয়ামী লীগ সরকার টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে ব‌্যাপক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ১২ বছরে বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে দেশ পরিচালনা করেছি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, দাবায়ে রাখতে পারবা না। আসলেও দাবায়ে রাখা যায়নি, যাচ্ছে না। তার আদর্শে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সভায় সূচনা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অন‌্যদের মধ‌্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।