বৈদেশিক ঋণের ভারে ডুবছে পাকিস্তান

বৈদেশিক ঋণের ভারে ডুবছে পাকিস্তান

সুপ্রভাত বগুড়া (আন্তর্জাতিক): বৈদেশিক ঋণের ভারে ডুবছে পাকিস্তান। দেশটির আর্থিক ঋণ বেড়েই চলছে। এদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসেই ৬.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান।

গত অর্থবছরের একই সময়ে মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ শতাংশ বা ৩৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশটির ইংরেজি গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে চীন থেকে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন বাণিজ্যিক ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান।

Pop Ads

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়কালে সরকার একাধিক আর্থিক উৎস থেকে ৬.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক ঋণ লাভ করেছে। শুধু জানুয়ারি মাসে সরকার ৯৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক ঋণ পায়, যার মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ৬৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ছিল সবচেয়ে ব্যয়বহুল ঋণ।

মন্ত্রণালয় বলেছে, ৬.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা মোট ঋণের ৪১ শতাংশ বৈদেশিক বাণিজ্যিক ঋণের কারণে নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৮৭ শতাংশ বৈদেশিক ঋণ বা ৫.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট অর্থায়ন, বৈদেশিক মুদ্রা মজুদ এবং পণ্য অর্থায়নের জন্য নেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), সৌদি আরব এবং অন্যান্য ঋণদাতা সংস্থা পাকিস্তানকে ঋণ দেওযা বন্ধ রাখলেও চীনের অব্যাহত আর্থিক সহায়তা দেশটিকে প্রায় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা মজুদ রাখতে সাহায্য করেছে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, যেমন পিআইএ এবং পাকিস্তান স্টিল মিলস দেউলিয়া হয়ে গেছে; ইউটিলিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলো অজানা কারণে লোকসানের মুখে পড়ছে।  গত বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার ছয় মাসে পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ ও দায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২.৬ শতাংশ বেড়েছে।