ভবিষ্যতে আমরাও চাঁদে যাব:প্রধানমন্ত্রী

79
ভবিষ্যতে আমরাও চাঁদে যাব:প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গবেষণা করে আমাদের পাশের দেশ (ভারত) চাঁদে যায়। আমরা কেন পিছিয়ে থাকব? ভবিষ্যতে আমরাও চাঁদে যাব। ’

আজ শনিবার (০৭ অক্টোবর) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

Pop Ads

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের এই দিকটা (অ্যারোস্পেস) যেন আরও উন্নত হয় সেজন্য অ্যারোস্পেস বিষয়ে আমাদের আরও গবেষণা করা দরকার। আমাদের লোকবল দরকার, এ ক্ষেত্রে আরও গবেষণাও দরকার। সেটিকে মাথায় রেখে আমাদের যারা অত্যন্ত মেধাবী তরুণ-তরুণী আছে, তাদের উপযুক্ত শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যে আমরা লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখি আমাদের আশপাশের দেশ চাঁদে চলে যায়, তো আমরা কেন পিছিয়ে থাকব? আমরাও চাঁদে যাব। ভবিষ্যতে সেভাবেই আমরা দক্ষ জনশক্তি, স্মার্ট জনশক্তি গড়ে তুলব। আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক, আর এভিয়েশন খাতে বাংলাদেশ আরও উন্নত হোক।’

সরকারের নানা উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে দুই কোটির বেশি মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। বেকার মাত্র ২ দশমিক। দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনা হয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। আমরা গ্রামের মানুষকে নিয়ে কাজ করছি। দেশের ১০ কোটি মানুষকে সহায়তা করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখন প্রথম ক্ষমতায় আসি তখন বিমানবন্দরে কোনো বোডিং ব্রিজ ছিল না। আমরা তখন এই বিমানবন্দরের উন্নয়নে পদক্ষেপ নিই। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করি।

সরাসরি পাইপ লাইনে জেট ফুয়েল আসবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এতে সময় ও অর্থও বাঁচবে। এই প্রকল্পের কাজ চলছে বলে জানান তিনি। একদিন দেশের মানুষ চাঁদেও যাবে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির পাশাপাশি স্মার্ট সমাজ তৈরিরও কাজ করছি।

নানা বাধা সত্তে¡ও নির্ধারিত সময়ে থার্ড টার্মিনালের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। বিশেষ করে এই প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ার এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাপানের সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার মাসাহিরো কমুরা।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী সকাল সোয়া ১০টায় থার্ড টার্মিনালে আসেন। গেটে সরকারপ্রধানকে বরণ করেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর ও বিমান সচিব মোকাম্মেল হোসেন। তিনি গেট হয়ে প্রবেশের আগে ছোট ছোট মেয়েরা দেশের গানে নেচে অভিবাদন জানান। এরপর তিনি যান লাগেজ চেকিং পয়েন্টে। তাকে ১০টা ১৮ মিনিটে প্রতীকী বোডিং পাস দেওয়া হয়। পরে তিনি ইমিগ্রেশন কাউন্টারের দিকে এগিয়ে যান। ১০টা ২১ মিনিটে তিনি ইমিগ্রেশন কাউন্টারে পৌঁছেন।

প্রি বোডিং সিকিউরিটি জোন থেকে বোডিং ব্রিজ হয়ে চলন্ত সিঁড়ি বেয়ে সরকারপ্রধান নেমে যান দ্বিতীয় তলার অনুষ্ঠানস্থলে। তার আগে তিনি থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকালে তোলা ফটো গ্যালারি পরিদর্শন শেষে যান বোডিং ব্রিজের দিকে। সবশেষ তিনি মঞ্চের সামনে আসেন ১০টা ৩২ মিনিটে। এরপর আসন গ্রহণ করেন। পরে সবাই দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত পাঠ করেন এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।