মৃত ব্যক্তির নামে ডাকযোগে ব্যালট পাঠানোর অভিযোগ; সকল ভোট গণনার দাবিতে বিভিন্ন স্থানে বাইডেন সমর্থকদের র‌্যালি, সমাবেশ

মৃত ব্যক্তির নামে ডাকযোগে ব্যালট পাঠানোর অভিযোগ; সকল ভোট গণনার দাবিতে বিভিন্ন স্থানে বাইডেন সমর্থকদের র‌্যালি, সমাবেশ। ছবি-সংগৃহীত

সুপ্রভাত বগুড়া (আন্তর্জাতিক):জনগণের রায় উপেক্ষা করে গণতন্ত্রের নামে প্রহসনের নাটক করতে চাচ্ছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-যা তৃতীয় বিশ্বে ঘটে থাকে-এমন অভিমত পোষণ করেন ক্ষুব্ধ বক্তারা। তাই বোর্ড অব ইলেকশন অফিস যথাসময়ে পাওয়া সকল ব্যালটের গণনা দাবিতে বুধবার বিক্ষোভ-সমাবেশ হলো নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, শিকাগো, ডেট্রয়েট, মিনিয়াপলিস, ওরেগণ, ওয়াশিংটন ডিসিসহ বিভিন্ন স্থানে।

বাইডেন সমর্থকরা এ কর্মসূচি গ্রহণ করে ট্রাম্পের মধ্যযুগীয় আচরণের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাতে। সমাবেশ থেকে উল্লেখ করা হয়, নিশ্চিত পরাজয় জেনে ডাকযোগে আসা ব্যালট গণনা বন্ধের দাবিতে মামলা করার ঘটনাও ঘটেছে। হাস্যকর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যে, গণনার সময় নাকি রিপাবলিকান পোলিং এজেন্টদের গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না।

Pop Ads

মৃত ব্যক্তির নামে ডাকযোগে ব্যালট পাঠিয়েছেন বাইডেনের সমর্থকরা-এমন অভিযোগও করা হচ্ছে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে। ‘ডিফেন্ড ডেমক্র্যাসী’, ‘প্রটেক্ট দ্য ভোট’ এবং ‘রিফিউট ফ্যাসিজম’ ব্যনারে এসব কর্মসূচিতে সর্বস্তরের মানুষের সমাগম ঘটে। স্লোগান ছিল ‘সব ভোটের গণনা চাই’। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চললেও সন্ধ্যার পর নিউইয়র্ক সিটি এবং মিনিয়াপলিসে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে।

সে সময় ট্রাম্পের সমর্থকরা আশপাশ থেকে চেষ্টা চালায় উত্তেজনা সৃষ্টির, কিন্তু সকলে তা গভীর ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করেছেন। ট্রাম্পের সমর্থকরা বিক্ষোভের নামে হামলা করে আরিজোনায় ভোট গণনার সেন্টারে। তবে নিরাপত্তা রক্ষীরা পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হয় বলে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জানা গেছে।

এদিকে, শনিবার পর্যন্ত ভোট গণনার দাবিতে এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে অন্তত: ১০০টি সিটিতে-এ তথ্য জানান আয়োজকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। একইসাথে বর্ণবাদ বিরোধী সমাবেশের কথাও ভাবছেন আয়োজকরা।

ট্রাম্পের স্বৈরাচারি মনোভাবের চিরঅবসান ঘটাতে লাগাতার আন্দোলনের বিকল্প নেই বলে বুধবার রাতে কমিউনিটি অর্গানাইজাররা উল্লেখ করেন। এদিন মিনিয়াপলিস ও ওরেগণে সহিংসতা ঠেকাতে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।