সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব): যমুনায় পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী এলাকায় বসতবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে শতশত বিঘা পাট, আউশ ধান, সবজির খেত ও বীজতলা।
বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় চরাঞ্চলের মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাঁরা গরু-ছাগল নিয়ে পার্শ্ববর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।
বগুড়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে শনিবার সকাল ছয়টায় পানি প্রবাহিত হয়েছে ১৬ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। ২৪ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে আজ সকাল ছয়টায় ১৬ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২টায় ১৭ দশমিক শূন্য ৫ সেন্টিমিটার হয়।
সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উজানের ঢলে যমুনা নদীর পানিতে উপজেলার চালুয়াবাড়ি, হাটশেরপুর (আংশিক), কাজলা, কর্নিবাড়ি এবং বহাইল ইউনিয়নের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বসতবাড়িতে কোমরসমান পানি। চরে বসবাসকারী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। পানিবৃদ্ধির সঙ্গে নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে প্রবল ভাঙন।
চালুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, যমুনায় পানি বেড়ে যাওয়ায় ওই ইউনিয়নের ছয় থেকে সাতটি চর ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। পাটসহ নানা ফসল পানিতে ডুবে গেছে। বসতবাড়ি নিমজ্জিত হওয়ায় এবং নদীভাঙনে প্রায় ১০০ পরিবার গৃহহারা হয়ে পড়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শওকত জামিল বলেন, উপজেলায় ১১ হাজার ৭৪৫ হেক্টর জমিতে পাট, আউশ ধান, সবজি, বীজতলাসহ নানা ফসল রয়েছে। এর মধ্যে যমুনার ঢলে ৮০৬ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। নদীভাঙনে বিলীন হয়েছে ৬৭৫ হেক্টর আবাদি জমি।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া বলেন, ‘যমুনায় পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় চরাঞ্চলবেষ্টিত কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের সব প্রস্তুতি রয়েছে।