যুক্তরাষ্ট্রে আবারো লকডাউন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ !

সুপ্রভাত বগুড়া (আন্তর্জাতিক): প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে লণ্ডভণ্ড যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে সর্ববৃহৎ অঙ্গরাজ্য নিউ ইউয়র্ক, নিউ জার্সিসহ কয়েটি বড় শহরের সবচেয়ে নাজুক অবস্থা। এমন অবস্থায় অধিকাংশ রাজ্যগুলোতে লকডাউন জারি রয়েছে। জরুরি সেই অবস্থা উঠে নেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ওরেগন অঙ্গরাজ্যের অধিবাসীরা।

সরকারের ঘোষিত‘স্টে অ্যাট হোম’ নির্দেশনা বাতিলের দাবিতে শনিবার (২ মে) বিকেলে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় স্থানীয়দের। যেখানে অংশ নেন শত শত মানুষ। খবর আল জাজিরার। মাস্ক পড়ার নির্দেশনা থাকলেও এদিন বিক্ষোভকারীদেরকে বেশিরভাগই মাস্কসহ কোনও ধরনের সুরক্ষা নিতে দেখা যায়নি। অনেকেই ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক।

Pop Ads

বৃষ্টির মধ্যেই তারা পতাকা হাতে ট্রাম্পের নির্বাচনী স্লোগান, ‘ওরেগন খুলে দাও’, ‘আয় করতে দাও’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের নামে ওরেগন গভর্নর কেট ব্রাউন ‘স্টে অ্যাট হোম’ নির্দেশনা দিয়ে অর্থনীতির ক্ষতি করছেন এবং এতে হোয়াইট হাউসেরও অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে।

অঙ্গরাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৬৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর ইতিমধ্যে অধিকাংশই সুস্থ হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ১০৯ জন। যা প্রথম সারির অঙ্গরাজ্যগুলোর তুলনায় অনেক কম। আর এতে করেই সরকারের নির্দেশনা মানতে নারাজ তারা। এর আগে অনেকেই লকডাউন তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন।

তবে, স্থানীয় গভর্নরের মতে পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি থাকবে। তবে আগামী ১৫ মে থেকে কিছু কিছু কাউন্টিতে স্বল্প পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য ফের শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

একই দাবিতে এর আগে ওকলাহোমা, টেক্সাস, ভার্জিনিয়া, মিশিগান, ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, কেন্টাকি, ওহিও, নর্থ ক্যারোলিনা ও মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভ হয়েছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এতে করে মোট প্রাণহানি বেড়ে ৬৭ হাজার ৪৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। শিকার হয়েছেন আরও অন্তত ২৯ হাজার ৭৪৪ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৬০  হাজার ৭৪৪ জনে ঠেকেছে। যা যেকোনো দেশের তুলনায় কয়েকগুণ। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here