শবে কদর: ক্ষমা ও কল্যাণ প্রাপ্তির এক মহান রজনী

3
শবে কদর: ক্ষমা ও কল্যাণ প্রাপ্তির এক মহান রজনী

লাইলাতুল কদর মহান আল্লাহর এক অফুরন্ত দান। নৈকট্য অর্জনের এক পবিত্র রজনী ।পাপ মোচন এবং কল্যাণ লাভের এক অনন্য মাধ্যম। ভাগ্য নির্ধারণের মহেন্দ্রক্ষণ
মুমিন বান্দার সাথে ফেরেশতাদের সাক্ষাত লাভের এক পবিত্র মুহূর্ত। নেকি হাসিলের এক পরম সুযোগ। এক রাতেই অর্জিত হয় হাজার মাসের ইবাদতের সওয়াব। এ রাতকে ঘিরেই সৃষ্টি হয় আসমানবাসীদের মাঝে আনন্দের আবহ।

এ ধরায় অবতীর্ণ হন জিবরাঈল আ.তার কাফেলাসহ। মুসাফাহা করেন ইবাদতগুজার প্রত্যেক বান্দার সাথে। সৃষ্টি হয় দয়ার সাগরে ঢেউয়ের। বর্ষিত হয় রহমতের বারি সুবহে সাদিক পর্যন্ত।

Pop Ads

কদর রজনী সহস্র মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।সেই রজনীতে ফেরেশতাগণ ও রুহ (জিবরাইল আ.) অবতরণ করেন (এই পৃথিবীতে)। তাদের রবের হুকুমে প্রত্যেক ভাল এবং কল্যাণকর বিষয় নিয়ে। শান্তিই- শান্তি সেই রজনী সুবহে সাদিক উদিত হওয়া পর্যন্ত। (সুরা কদর ৩-৫)

নবীজি সা ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস এবং সওয়াব প্রাপ্তির প্রত্যাশায় রোজা রাখবে তার পূর্বের গুনাহ সমুহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে পূর্ণ বিশ্বাস ও সওয়াব প্রাপ্তির আশায় কিয়াম (ইবাদত-বন্দেগি) করবে, তার পূর্বের গুনাহ সমুহ মাফ করে দেওয়া হবে৷ (সহিহ বুখারি ২০১৪)

হযরত আনাস রা থেকে বর্ণিত, রমজান এলে রাসুল সা বলতেন: এই মাস তোমাদের নিকট উপস্থিত হয়েছে। এতে একটি রজনী রয়েছে, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যে ব্যক্তি এর কল্যাণ ও বরকত থেকে বঞ্চিত থাকল সে যেন সকল কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হল। আর কেবল হতভাগাই এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত থাকে৷ (সুনানে ইবনে মাজাহ ১৬৪৪, সুনানে নাসাঈ ২১০৬)

রমজানের কোন তারিখে এই রজনী? কুরআন-হাদিসে এর সুনির্দিষ্ট তারিখ বলা হয়নি। তবে রমজানের শেষ দশকে বিশেষকরে শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এমনকি উবাই ইবনে কাব রা সহ একাধিক সাহাবী ও তাবেয়ি থেকে রমজানের ২৭ তম তারিখে শবে কদর হওয়ার কথাও বর্ণিত হয়েছে।
তাই রমজানের শেষ দশকের প্রত্যকটি রাতকেই গনিমত মনেকরে বেশি বেশি ইবাদত- বন্দেগি করা চাই। রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন তোমরা রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর তালাশ কর। (সহিহ বুখারি ২০২০)

আরেক রেওয়াতে এসেছে, তোমরা শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে কদর রজনী অন্বেষণ কর। (বুখারি ২০১৬