সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব, শাজাহানপুর বগুড়া প্রতিনিধি): বগুড়ার শাজাহানপুরে খাল হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধে দায়ী ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা সহ ওই শেলোমেশিনটি পুড়িয়ে দিয়েছে নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভিন।
বুধবার ৩ জুন উপজেলার শৈলধুকরী গ্রামের খালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে তিনি এই আদেশ দেন। তিনি বলেন, বেআইনীভাবে শৈলধুকরী ব্রীজ এলাকার খাল হতে বালু উত্তোলন করছিল।
এতে করে হুমকির মুখে পড়ে ওই গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র বেইলী ব্রীজ এবং ভাংগনের আশংকায় পড়ে শৈলধুকরী গ্রামের বসতবাড়ি। সরকারী নির্দেশ অমান্য করে এসব কাজ করায় নদী ও খাল সংরক্ষন আইনে ৫০ হাজার টাকা জারমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড এবং অবৈধ কাজে ব্যবহৃত শেলো মেশিনটি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আমরুল ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামের মদদপুষ্ট হয়ে দীর্ঘদিন যাবত এ গ্রামে একের পর এক এই খাল হতে বালু উত্তোলন কাজ চলছে। কারো বালু বালু প্রয়োজন হলে বা গর্ত ভরাট করার প্রয়োজন হলে ওই নেতার দারস্ত হয় এবং সে সব ম্যানেজ করে অবৈধভাবে খাল হতে বালু উত্তোলন করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ওই গ্রামের খোকা মিয়া আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুলের মাধ্যমে নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তার নিজের নীচু জমি ভরাট করছিল। স্থানীয় লোকজন, জনপ্রতিনিধি এবং সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি সহকারী ভুমি কমিশনার জানার পর উপজেলা সার্ভেয়ারকে দিয়ে নিষেধ করা হয়।
কিন্তু বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে তারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। এতে করে হুমকির মুখে পড়ে ওই গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র বেইলী ব্রীজ এবং ভাংগনের আশংকায় পড়ে শৈলধুকরী গ্রামের বসতবাড়ি। এসব তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ওই খালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট ও শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী র্কমকর্তা মাহমুদা পারভিন।
এসময় তিনি খালে চলমান অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের শেলো মেশিন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন এবং এসব কাজে জড়িত থাকার অপরাধে শৈলধুকরী গ্রামের খোকা মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।