শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনলাইনে ক্লাস পরীক্ষার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি

সুপ্রভাত বগুড়া (শিক্ষা-সাহিত্য): মহামারি করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে দেশব্যাপী চলছে সাধারণ ছুটি। এছাড়াও প্রাথমিকসহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী ৭ মে থেকে অনলাইনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তি পরীক্ষা ও সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমন সিদ্ধান্তকে প্রত্যাহার করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীবৃন্দ প্ল্যাটফর্ম। মঙ্গলবার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীবৃন্দ প্ল্যাটফর্মের পক্ষে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে,

Pop Ads

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে কার্যক্রমের যে সকল ঘাটতি ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে তা দূর না করে ও শিক্ষার্থীদের পরিস্থিতি বিবেচনা না করে যেকোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীবৃন্দের পক্ষ থেকে সামনে কঠোর কর্মসূচি নেয়া হবে।

অনলাইনে পরীক্ষার বিষয়ে তারা কিছু সীমাবদ্ধতা তুলে ধরেছে। এগুলো হলো-
ক) দুর্বল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা।
খ) ক্লাস পরীক্ষায় যুক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত ডিভাইসের অভাব।
গ) অনলাইনে ল্যাব ক্লাসে গুনগত মানের অভাব।
ঘ )ইন্টারনেটের খরচ বহন করার সীমাবদ্ধতা।
ঙ )অনলাইনে ক্লাস করানোর ক্ষেত্রে শিক্ষকদের পর্যাপ্ত দক্ষতার অভাব।

তারা যেসব দাবি উত্থাপন করেছে সেগুলো হলো-
১। মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেমিস্টার ফি আদায় করতে পারবে না। স্পষ্টভাবে এই ঘোষণা দিতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেমিস্টার ফি কিস্তিতে আদায় করতে হবে এবং যাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা নেই তাদের সেমিস্টার ফি মওকুফ করতে হবে।

২। অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার সীমাবদ্ধতা দূর না করা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করতে হবে।

৩) পরীক্ষামূলকভাবে এক সপ্তাহ অনলাইনে কার্যক্রম চালিয়ে ১০০ ভাগ কার্যকারিতা নিশ্চিত করে তারপর মূল কার্যক্রমে যেতে হবে।

৪) ১০০% কার্যকরী সমাধান দিয়ে যদি অনলাইনে কার্যক্রম চালানোর উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি করে সেমিস্টার এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত সেমিস্টারগুলোর ফি-এর ৪০% ছাড় দিতে হবে।

উল্লেখ্য, বেসরকারি ৯৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪০টিরই নেই অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা। বাকি ৫৬টির মধ্যে কোনোটি পুরাপুরি আবার কোনোটির আংশিক অনলাইন কার্যক্রম চালানোর সামর্থ্য আছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। গেল সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরাই এই তথ্য প্রদান করেছে। অথচ এরমধ্যেই আগামী বৃহস্পতিবার (৭ মে) থেকে অনলাইনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা ও সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here