সরকারি জমি গর্ত করে মাটি বিক্রি করছে ভুমিদস্যুরা, অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেই

সরকারি জমি গর্ত করে মাটি বিক্রি করছে ভুমিদস্যুরা, অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেই। ছবি-ওহাব

সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের সাঘাটিয়া এলাকায় সরকারি খাস জমি গভীর গর্ত করে মাটি বিক্রি করছে ভুমিদস্যুরা। এভাবে সরকারি জমিগুলো একের পর এক নষ্ট হয়ে গেলেও কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। শনিবার ১৯ ডিসেম্বর ওই এলাকায় সরকারি জমি ডোবা নালা গর্ত করে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার মহা উৎসব দেখাগেছে।

সরেজমিনে সেখানে দেখাগেছে, সাঘাটিয়ার বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে ফসলি ক্ষেতের মাঠ। মাঝখানে রয়েছে একটি বিল। এই বিল সহ আশেপাশে কয়েক একর সরকারি খাস জমি রয়েছে। যেখানে এলাকার কৃষকেরা বীজতলা বপন করে। স্থানীয়রা জানান, উপজেলা ভুমি অফিস থেকে বছরের পর বছর এসব ভুমির তদাারকি না করায় ভুমিদস্যুরা মাটি বিক্রি করে পকেটে টাকা ভরছে। তথাপি দেখার কেউ নাই।

Pop Ads

এ প্রসংগে আমরুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অটল জানান, সরকারি সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ভূমি অফিসের। কিন্তু তারা ব্যাবস্থা নেয়না। তিনি বলেন, শুধু সাঘাটিয়া এলাকায় নয়, এই ইউনিয়নে ৯২ একর সরকারি খাস জমি রয়েছে। যার বেশির ভাগ জমি আধিপত্য বিস্তারকারীরা দখল করে রেখেছে। ইচ্ছেমত মাটিও কাটছে।

এ বিষয়ে গত তিন বছর যাবত প্রশাসনকে মৌখিকভাবে বলার পাশাপাশি লিখিতভাবে জানানোর পরও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যাক্তি জানান, প্রশাসনিকভাকে কোন ব্যাবস্তা না নেয়ায় এলাকার ভুমিদস্যুরা এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কৃষি জমিগুলো নষ্ট করলেও এর দায়িত্ব নেই কারো।

এবিষয়ে ওই ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নুর আলম জানান, সাঘাটিয়া এলাকায় তিন একর সরকারি খাস জমি রয়েছে। ওইসব ভুমি থেকে মৌখিকভাবে মাটি কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। না শুনলে করার কি আছে। আর শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিক খান জানান, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।