সাদ আল-জাবরির নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়েছে কানাডা সরকার

সাদ আল-জাবরির নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়েছে কানাডা সরকার ছবি-সংগ্রহ

সুপ্রভাত বগুড়া (আন্তর্জাতিক): সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান সাদ আল-জাবরির নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়েছে কানাডা সরকার।

যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের ভয়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। কানাডার প্রভাবশালী দৈনিক গ্লোব অ্যান্ড মেইল বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে।

Pop Ads

পত্রিকাটি লিখেছে, সৌদি রাজপরিবার আল-জাবরিকে হত্যার জন্য নতুন করে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ অবস্থায় কানাডা সরকার তার বাসভবনের আশেপাশে নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়েছে।

বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। দেহরক্ষীর সংখ্যা ও নিরাপত্তা সরঞ্জামের পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে আল-জাবরির অবস্থানস্থল গোপন রাখা হচ্ছে।

তবে সৌদি আরব তাকে হত্যায় নতুন কী ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে তা উল্লেখ করেনি ডেইলি গ্লোব অ্যান্ড মেইল।

সম্প্রতি সাদ আল-জাবরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি’র একটি আদালতে উপস্থিত হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পরপরই তাকে হত্যার জন্যও ঘাতক স্কোয়াড পাঠিয়েছিল যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান।

তবে ঘাতক স্কোয়াড হত্যা প্রচেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়।সৌদির সাবেক গোয়েন্দা প্রধান সাদ আল-জাবরি প্রায় তিন বছর আগে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেন এবং তখন থেকে তিনি দেশটিতে নিরাপত্তা সুরক্ষা ভোগ করছেন।

সৌদি ঘাতক-স্কোয়াডটি কানাডার পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশটিতে প্রবেশের সময় কানাডার গোয়েন্দা বিভাগের সন্দেহের চোখে পড়ে যায়।

এ কারণে তারা সাদ আল-জাবরিকে হত্যা করতে ব্যর্থ হয়। ৬১ বছর বয়সি জাবরি সৌদি আরবে ব্রিটেনের এমআইসিক্স’সহ পশ্চিমা গুপ্তচর সংস্থাগুলোর তৎপরতা সম্পর্কে সম্যক অবহিতএ ছাড়া,

মোহাম্মাদ বিন সালমান ষড়যন্ত্র করে আগের যুবরাজকে সরিয়ে দিয়ে কীভাবে সৌদি যুবরাজের আসনে বসলেন সে সম্পর্কিত তথ্য ভালো করে জানা আছে সাদ আল-জাবরির।

কাজেই তিনি যাতে এসব তথ্য ফাঁস করে দিতে না পারেন সে লক্ষ্যে বিন সালমান তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন বলে জাবরি তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।

ওয়াশিংটন ডিসি’র আদালতে অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর কানাডায় ঘাতক স্কোয়াড পাঠান বিন সালমান।

বিমানবন্দরে তাদের কাছে টুকরো টুকরো করার যন্ত্র পাওয়া গেলে কানাডার ইমিগ্রেশন পুলিশ সন্দেহ করে। এরপর আর ওই মিশন সফল হয়নি।

এই অভিযোগ সম্পর্কে সৌদি সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি।২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের শেষদিকে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে নির্মমভাবে খুন হন প্রখ্যাত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here