সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে দেশ

সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে দেশ

সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): সোমবার থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে দেশ। বন্ধ থাকবে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। চলবে না গণপরিবহন। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পুলিশ-বিজিবির পাশাপাশি মাঠে থাকবেন সেনা সদস্যরা। তবে খোলা থাকবে বাজার ও নিত্যপণ্যের দোকাপাট। শনিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ।

করোনার সংক্রমণ-মৃত্যু বাড়ায় সোমবার থেকে সারা দেশে সাত দিনের কঠোর লকডাউনপ্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। শুক্রবার তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তার দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সোমবার থেকে ৭ দিন এ কঠোর লকডাউন চলবে। এরপর প্রয়োজন মনে করলে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরো বৃদ্ধি করা হবে।

Pop Ads

এবারের লকডাউনের মধ্যে জরুরি কারণ ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষ যাতে বিধিনিষেধ মানে, সেজন্য কাজ করবে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী। বিধিনিষেধের মধ্যে সকল সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে বাজেটের কাজে সহযোগিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক শাখা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ কয়েকটি অফিস আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

কঠোর লকডাউনের মধ্যে জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ থাকবে সব সরকারি বেসরকারি অফিস। জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া চলবে না কোনো যানবাহন। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজের যানবাহন ও গণমাধ্যম এ বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কাজ করবে পুলিশ-বিজিবি। মোতায়েন থাকবেন সেনা বাহিনী। লকডাউন চলাকালীন জরুরি কারণ ছাড়া কেউ বাইরে বেরুতে পারবেন না।

লকডাউনের সময়ে জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত যানবাহন এবং গণমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না। বিধিনিষেধের বিষয়ে আরও বিস্তারিত আদেশ শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা হবে বলে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান।মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর গত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকেই সারাদেশে ধাপে ধাপে মেয়াদ বাড়িয়ে লকডাউনের বিধিনিষেধ চালু রাখা হয়েছে।

তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শিথিল করা হয়েছে বেশ কিছু নিয়ম। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় জুনের শুরু থেকে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে বাড়তে উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।