কারখানার বাইরে থাকুক আর ভেতরে থাকুক, একজন শ্রমিক আক্রান্ত হলেই কারখানা লকডাউন!

সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): আজ দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার দক্ষিণ ভাংনাহাটি গ্রামে হ্যামস গার্মেন্টস পরিদর্শন শেষে গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) শামসুন্নাহার সাংবাদিকদের বলেন, শ্রমিকরা কারখানার বাইরে থাকুক আর ভেতরে থাকুক একজন আক্রান্ত হলেই কারখানা লকডাউন হয়ে যাবে।

পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, কারখানায় কাজ করতে এসেই যে শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা মানতে হবে বিষয়টি এমন নয়। কারখানার প্রবেশের সময়, কাজ শেষে বের হওয়ার সময়, কারখানায় কাজ করার সময় এবং শ্রমিকদের বাসস্থানের ঘরটি যাতে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

Pop Ads

তার জন্য কারখানার পক্ষ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও শ্রমিকদের সতর্ক থাকতে হবে। এসপি কারখানার মালিকদের বলেন, অনেক কারখানায় সামাজিক দূরত্ব আছে। কিন্তু অনেক শ্রমিক একবার হাত ধুয়ে কাজে যোগদান করছেন, সেটাই কিন্তু যথেষ্ট নয়।

কাজের ফাঁকেও কিন্তু হাত চোখ, নাক ও মুখে চলে যায়। কাজেই সে বিষয়ে সতর্ক থেকে বারবার হাত ধোয়ার প্রতি জোর দিতে হবে। শ্রমিকদের বেতনভাতা সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, বেশির ভাগ কারখানা শ্রমিকদের বেতনভাতা পরিশোধ করেছে। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন পাচ্ছি, যে অনেক কারখানা বেতন দেয়নি।

পুলিশের পক্ষ থেকে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে শ্রমিকদের বেতন পাওয়ার ব্যবস্থা করছি। শ্রমিক ছাঁটাই সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে, অনেক কারখানা কর্তৃপক্ষ আইডি কার্ড ফেরত নিয়ে শ্রমিকদের কারখানা থেকে বের করে দিচ্ছেন।

আমরা মালিকদের অনুরোধ করে বলতে চাই, সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়ন করুন। কারণ এই দুর্যোগ থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমাদের সবার দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here