সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শাজাহানপুরে জোরপুর্বক জমি দখল করার চেষ্টাকালে দেলোয়ারা খাতুন ফেরদৌসি (১৮) নামে কামিল মাষ্টার্স পড়–য়া এক মাদরাসা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী সহ মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে আহত ফেরদৌসি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্ততঃ ৪ জন।
তারা হলো- দাড়িগাছা গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে হায়দার (৪০), মোফাজ্জল (৩৭), হায়দার আলীর ছেলে আতাউর (২০) এবং মোফাজ্জলের স্ত্রী কারিমা খাতুন (২৫)। তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ২০ এপ্রিল শাজাহানপুর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের দাড়িগাছা মৌজায় ১৯৪৫ দাগের ৪ শতক ভিটাজমি পৈত্রিক সুত্রে পেয়ে ভোগ দখল করে আসছিল দাড়িগাঢ়া সোহাগী পাড়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে মোফাজ্জল হোসেন (৩৭)। এনিয়ে একই গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ৪ ছেলে আকরাম হোসেন (৫২), সিরাজুল ইসলাম (৩২), ওয়ারেস আলী (৪৫) সাহেব আলী (৬০) সহ আরও ৩/৪ জনের সাথে বিরোধ দেখা দেয়।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল আটটার দিকে তারা বাঁশের বেড়া দিয়ে জমিটি দখলের চেষ্টা করে। এ সময় বাধা প্রদান করলে প্রথমে গালিগালাজ ও পরে মারপিটের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দেলোয়ারা খাতুন ফেরদৌসি নামে কামিল মাষ্টার্স পড়–য়া এক মাদরাসা ছাত্রীকে মারপিট সহ তার শ্লীলতাহানী করা হয়। এছাড়াও কারিমা খাতুন নামে আরেক নারী সহ আরও ৪ জনকে মারপিট করা হয়।
ফেরদৌসি শাজাহানপুর উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অন্যরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিৎিসাধীন রয়েছে। ফেরদৌসির বাবা জানান, তার লেখাপড়া করা মেয়েকে শুধু মারপিটই করা হয়নি শ্লীলতাহানীও করা হয়েছে।
আর অভিযুক্ত আকরাম হোসেন বলেন, হাতাহাতি হয়েছে। এতে করার কিছু নেই। এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার এসআই শামীম আহমেদ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।